বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

প্রত্যর্পণ : হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তির বিধান উল্লেখ করে সম্প্রতি নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকা থেকে পাঠানো চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

কিন্তু ওই চিঠি পেলেও শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধ মেনে নেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে না ভারত। দেশটির প্রধান মিত্র হিসাবে পরিচিত শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার প্রত্যর্পণ নয়াদিল্লির জন্য একটি সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে দমন থেকে শুরু করে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ ধরনের বিশ্বস্ত একজন মিত্রকে ত্যাগ করা একটি কৌশলগত ভুল হবে। তাই এ ধরনের ঝঁকি নেবে না ভারত।

ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পন চুক্তির আওতায় দুদেশের অপরাধীদের তারা পরষ্পরের কাছে হস্তান্তর করবে। কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা এই চুক্তির আওতায় পড়বে না।

দিল্লিতে শীর্ষস্থানীয় একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, দু’দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তিতেই পরিষ্কার বলা আছে রাজনৈতিক অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে হস্তান্তর করা যাবে না। ফলে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই সেই যুক্তিই প্রযোজ্য হবে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, ঢাকার দাবি মেনে নিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠালে এই অঞ্চলে ভারতীয় মিত্রদের কাছে একটি নেতিবাচক সংকেত পৌঁছাবে এবং দেশটির সঙ্গে অন্যান্য মিত্রদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কর্মকর্তারা ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করতে দিল্লিকে চাপ দিচ্ছে। ভারত এ ধরনের অনুরোধ সতর্কতার সঙ্গেই যাচাই করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে কারণে এই প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

দিল্লিতে শেখ হাসিনার আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশের ভিসা সোনার হরিণ, এবার হতাশা বাড়ছে ভারতীয়দের

নতুন বছরে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ায় জটিলতা আরও বেড়েছে। আগের মতোবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশে কারামুক্ত হলেন ৯৫ ভারতীয় নাগরিক

অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ৯৫ জন জেলেকে কারামুক্তি দেয়া হয়েছে। গত দুইবিস্তারিত পড়ুন

ভারতে ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধে মোদী-মুর্মুকে চিঠি দিলেন খ্রিষ্টান নেতারা

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপরবিস্তারিত পড়ুন

  • মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারতের গভীর ষড়যন্ত্র : ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন
  • আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানালো আইএসপিআর
  • ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
  • জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ, হাসিনা ইস্যুতে চরম শঙ্কায় ভারত
  • অচিরেই বন্ধ হচ্ছে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের চেঁচামেচি, বাড়িতে আগুন
  • বাংলাদেশি পর্যটকের অভাব বুঝতে পারছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা
  • ‍বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার কূটনৈতিক চিঠি পেয়েছে দিল্লি
  • ১৪ দিনের রিমান্ডে ‘পুষ্পা’ খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন
  • ঢাকা সফর নিয়ে ভারতের এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
  • দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ