শুক্রবার, অক্টোবর ২৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বঙ্গবন্ধু সবসময় বলতেন ছয় দফা মানেই এক দফা, স্বাধীনতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছয় দফা দাবি আদায়ের এই ৭ জুন। এদিন রক্তের অক্ষরে ছয় দফার দাবির কথা লিখে গিয়েছিল বলেই এই ছয় দফার ভিত্তিতেই নির্বাচন, আমাদের যুদ্ধে বিজয় এবং আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। এই ছয় দফার ভেতরেই একদফা নিহিত ছিল। সেটা অন্তত আমরা পরিবারের সদস্যরা জানতাম। তিনি (বঙ্গবন্ধু) সবসময় বলতেন- ছয় দফা মানেই একদফা অর্থাৎ স্বাধীনতা।

সোমবার (৭ জুন) ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ আমরা স্বাধীন জাতি। তবে বাঙালি জাতিকে তিনি (বঙ্গবন্ধু) যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে কর্মসূচি তিনি হাতে নিয়েছিলেন, দুর্ভাগ্য যে তা তিনি করে যেতে পারেননি।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে তাকে এবং আমাদের পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি, আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করল, আমি দেশে ফিরে এলাম। তখন থেকে আমাদের একটাই চেষ্টা ছিল- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন। আজ আল্লাহর রহমতে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, রক্ত কখনো বৃথা যায় না এটাই প্রমাণিত সত্য। আজ জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আছে। ৭৫-এর পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু সে আদর্শ আজ আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা সেই শিক্ষা নিয়েই বাংলাদেশ সারাবিশ্বের বুকে আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ছাত্রজীবন থেকেই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতি একটা উন্নত জীবন পাবে সুন্দর জীবন পাবে এটাই তার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। তার সবসময় চিন্তা ছিল কীভাবে জাতিকে দুঃখ-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবেন ক্ষুধা-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত জীবন দেবেন।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান নামে যে দেশটি সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। কিন্তু দুর্ভাগের বিষয় যে পাকিস্তান হওয়ার সাথে সাথে আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলার ওপর আঘাত আসে। মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে। সে আন্দোলনও কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র হিসেবে প্রথম শুরু করে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই যাত্রা শুরু; ৫৪ এর যে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনেও পূর্ববাংলার মানুষের কী কী চাহিদা এবং কীভাবে উন্নত হবে সেই ২১ দফা কর্মসূচিতে সন্নিবেশিত ছিল।

কিন্তু সে সরকার টিকতে পারেনি বেশিদিন। পাকিস্তানিরা সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে দেয়। এরপর ৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন এ দেশের মানুষ কিছুটা মুক্তির স্বাদ পায়। কিন্তু সেটাও বেশিদিন টেকেনি। ৫৮ সালে মার্শাল ল জারি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে চিন্তা-চেতনাগুলো তার ভেতরে লালিত ছিল সেটাই প্রতিফলিত হয়েছিল ছয় দফা প্রণয়নের মাধ্যমে। আর সেটা তার আরও সুযোগ এসে গেল ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যখন দেখা গেল এই ভূখণ্ডের মানুষ সম্পূর্ণভাবেই নিরাপত্তাহীন। সেই সময় তিনি এই ছয় দফা দাবিটা উত্থাপন করেন। এই দাবিটা উত্থাপন হয়েছিল তখন সমস্ত পাকিস্তান বিরোধী দল একটা সম্মেলন ডেকেছিল লাহোরে। সেই সম্মেলনে তিনি এই ছয় দফা দাবিটা উত্থাপন করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগের বিষয় যখনই এই ছয় দফা দাবিটা তিনি তুলতে চাইলেন, এটা গ্রহণ করা হয়নি এবং শুধু তাই না। এটা এজেন্ডাভুক্ত করার চেষ্টা তিনি করেছিলেন সেটাও তারা করেনি।

এমনকি আমাদের কয়েকজন বঙ্গসন্তান এই বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ তারাও কিন্তু এটা মেনে নেয়নি বা এটাকে তারা গ্রহণ করেনি। তখন তিনি লাহোরেই প্রেসে এটা দিয়ে দেন। প্রেস কনফারেন্সও করেন। তারপর ঢাকায় ফিরে আসেন। এটা ফেব্রুয়ারি মাসের কথা, ঢাকায় ফিরে এসে তিনি প্রেস কনফারেন্স করেন। সেই প্রেস কনফারেন্সই ছয় দফা দাবি তিনি উত্থাপন করেন।

ছয় দফা দাবি উত্থাপনের সাথে সাথেই পাকিস্তান শাসকদের কথা ছিল যে এটা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্যই এই দাবি তিনি তুলেছেন। কিন্তু সেটা বাস্তব না। তিনি মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। যাই হোক এই ছয় দফা দাবিকে জনগণের দাবিতে রূপান্তর করা অর্থাৎ ছয় দফা দাবিকে জাতির পিতা নাম দিয়েছিলেন এই বাংলাদেশের জনগণের বাঁচার দাবি হিসেবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাতিল ইভিএম, ফিরল ‘না ভোট’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগতবিস্তারিত পড়ুন

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

বৈঠক করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এবিস্তারিত পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাওরের প্রকল্প স্থগিত
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়লো, পাবেন দুই ধাপে
  • বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আনলে দিতে হবে না শুল্ক
  • নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার রোধে সেন্ট্রাল সেল করা হবে : সিইসি
  • ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত : বেবিচক চেয়ারম্যান
  • নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ
  • আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার
  • জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
  • জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
  • সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক
  • গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা গিয়ে কী করব: সেফ এক্সিট প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা