বৃহস্পতিবার, জুন ১২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ভুতুড়ে পাথর দৌড়ে বেড়ায় যেখানে!

কখনই কি কোনো পাথরকে হাঁটতে দেখেছেন কিংবা দৌড়াতে? হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটিই সত্য। এ অদ্ভূত ধরনের ভুতুড়ে পাথর আপনি দেখতে পারবেন আমেরিকার ডেথ ভ্যালিতে।

ডেথ ভ্যালির বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মৃত্যু উপত্যকা। শুধু নামে নয়, বাস্তবেও এটি মৃত্যু উপত্যকা! এ এলাকাটি পরিচিত পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক উষ্ণ অঞ্চল হিসেবে। আবহাওয়া অফিসের নথি বলছে, ২০২০-র গ্রীষ্মে তাপমাত্র ছিল ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

উষ্ণতার গিনেস রেকর্ডও আছে ডেথ ভ্যালির। ১৯৩০ সালে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। যা এই পৃথিবীর রেকর্ডেড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বছরের গড় তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ৷ বৃ্ষ্টি হয় না বললেই চলে। সব মিলিয়ে প্রাণহীন উপত্যকা। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাঁচার ন্যূনতম রসদও নেই৷

এখানের বালি, কাঁকড়, পাথর, ন্যাড়া পাহাড় সবই যেন এক একটি মৃত্যু কূপ। কারণ হিসেবে বলা যায়, এখানের পাথরের কথা। পাথর একদিকে স্থির হয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানকার পাথরগুলো কখনোই একদিকে স্থির থাকেনা। এক থেকে সাড়ে তিনশ’ কেজি ওজনের পাথর ১ হাজার ফুট দূর পর্যন্ত ছুটোছুটি করে।

জায়গাটা আসলে একটি জলশূন্য হ্রদ। নাম রেসট্র্যাক প্লায়া ৷ শুকনো হ্রদের বুকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ভুতুড়ে পাথরগুলো। বিস্ময়করভাবে যারা নিজে থেকে স্থান পরিবর্তন করে। কখনও সরলরেখায়, কখনও বা বক্রাকারে। এমনও হয়, যে দুটি পাথর সমান্তরাল গিয়ে দিক পরিবর্তন করল। এমনকী পুরোনো অবস্থানেও ফিরে আসে কোনো কোনো পাথর।

বালির উপরে পাথরের দাগ দেখে প্রমাণ মিলে বিরাট চেহারার পাথরগুলো একটু আগেই ছুটোছুটি করে খানিকটা বিশ্রাম নিচ্ছে। অনেকেই এর কারণ হিসেবে মনে করেন, ডেথ ভ্যালির মাটির নিচে চৌম্বকক্ষেত্র আছে। কারো মত, এ হলো গিয়ে ভিনগ্রহের প্রাণীর কাজ। মানুষকে ঘাবড়ে দিতে এলিয়েনরাই রাতের বেলায় এসব কাণ্ড ঘটায়। অনেকে বলেন, অপদেবতার কাজ।

সাধারণ মানুষদের এসব কথায় অবাক হয়ে ভূবিজ্ঞানীরাও নেমেছিলেন চলমান পাথরের রহস্য সন্ধানে। যদিও তারাও সঠিক কারণে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। এমনকী গ্রহবিজ্ঞানী ব়্যালফ লরেন্সও রেসট্রাক প্লায়া নিয়ে একবার গবেষণায় নেমেছিলেন, যদিও কৃতকার্য হননি। এরপর দিনের পর দিনে ডেথ ভ্যালিতে গিয়ে পড়ে থাকতেন বিজ্ঞানী এম স্ট্যানলি। শেষ পর্যন্ত তিনিই সত্যির কাছে পৌঁছান।

বিজ্ঞানী এম স্ট্যানলি জানান, আসলে বছরের কোনো কোনো সময় ডেথ ভ্যালির পাহাড়গুলো থেকে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে নামে রেসট্র্যাক প্লায়াতে। তখন রেসট্র্যাক প্লায়া বাস্তবিক হ্রদ হয়ে ওঠে। তবে এই পানির উচ্চতা ৭-৮ মিটারের বেশি হয় না। এদিকে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামলে পানি পাতলা বরফে পরিণত হয়ে প্রসারিত হয়। এই সময় বরফ ও বাতাসের তীব্র গতির কারণে সরতে থাকে রেসট্র্যাক প্লায়ার পাথরগুলো।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা : অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন বিধ্বস্ত বিমানটির এক যাত্রী

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানটির এক যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচেবিস্তারিত পড়ুন

বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের পাইলটের করা ‘মে ডে কল’ আসলে কী

ভারতের আহমেদাবাদ থেকে আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ারবিস্তারিত পড়ুন

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎ

বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বাংলাদেশেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ভারতে বিধ্বস্ত বিমানের কেউ বেঁচে নেই: রিপোর্ট
  • ভারতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মোদিকে ড. ইউনূসের শোকবার্তা
  • ক্যান্টিনে খাওয়ার সময় হোস্টেলে আছড়ে পড়ে বিমান, ৫ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত
  • ২৫ বছরে ভারতে যত প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা
  • আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব
  • যে কারণে বিমান বিধ্বস্ত হতে পারে, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
  • ভারতে যেভাবে বিধ্বস্ত হলো যাত্রীবাহী বিমান (ভিডিও)
  • ভারতে বিমান বিধ্বস্ত মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে, বহু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা
  • ভারতে লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্ত, যা জানা গেলো
  • ভারতে ২৫০ যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা
  • বিমানটি ভারতের আহমেদাবাদে আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়
  • ভারতে বিধ্বস্তের আগে যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট