রাজধানীতে অচল ট্রাফিক সিগন্যাল, সচল করতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রাজধানীর যানজট নিরসনে ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে জার্মানি সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে শুক্রবার সকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
দুই কোটি মানুষের নগরী ঢাকার যানজট নিরসনে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা—এমন প্রশ্নের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) আইজিপির সঙ্গে কথা বলেছি, আমাদের ট্রাফিক লাইটগুলোকে সচল করে দিয়ে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য।’
মেট্রোরেলের কারণে ঢাকার সড়কে যানবাহন কমার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যেহেতু আগের মতো অতিরিক্ত চাপ নেই। এখন একটা সুবিধা আছে। তখন থেকে বসে আছি—এই অনুভূতি হবে না। তার (আইজিপির) সঙ্গে কথা হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার সড়ক সংযোগগুলোতে মোট ট্রাফিক সিগন্যাল আছে ১১০টি। এগুলোর মধ্যে মাত্র একটিতে সিগন্যাল সচল। এর বাইরে সড়কে সাড়ে ৫০০ জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দাঁড়িয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে হওয়াতে যানজট অনেকটা সহনশীল হয়ে গেছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় আছে। এক্সপ্রেসওয়েটা এখন মাঝামাঝি জায়গায় ফার্মগেট পর্যন্ত করা হয়েছে। পুরোটা হয়ে গেলে সুযোগটা সবাই পাবে। এ ছাড়া আরও পাঁচটা (রুট) মেট্রোরেল ঢাকাজুড়ে হবে। সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মেট্রোরেল নিয়ে সমালোচনাকারীদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কথা বলা আমাদের বাঙালির চরিত্র, কিছু ভালো লাগে না। একটা দলই আছে—যার কিছু ভালো লাগে না। তারপর যখন হয়, তখন সেটা তারা উপভোগ করে। আমি নিজেই একটি টেলিভিশনের টক শোতে শুনেছি, তখন দেখলাম তুমুল আলোচনা— ‘এই ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল? ৩ হাজার কোটি টাকায় ট্রাফিক জ্যাম বন্ধ করা যেত। এ টাকায় বাস কিনে দিলে ট্রাফিক জ্যাম বন্ধ হয়ে যেত। কাজেই ৩০ হাজার কোটি টাকা কেন লাগবে? এটা নিয়ে তুমুল অবস্থা, অনেক আলোচনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ আলোচনাগুলো করেছিল, এখন কী ভাবছে? তার মধ্যে একজন ছিল দূষণের ব্যাপারে। মেট্রোরেল তো দূষণ করে না। এটা নিয়ে তার কিছুই বলার ছিল না, বলেনি। একজনকে পেয়েছিলাম, জিজ্ঞেস করলাম কী ব্যাপার? তখন সে বলেছিল, আপা আমি কিছু বলি নাই।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)