সংবাদ সম্মেলনে বিস্ফোরক অভিযোগ নিপুণের (ভিডিও)
শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারের পর ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। তার আপিলের ভিত্তিতে ভোট পুনর্গণনাতেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে জায়েদ খানকে।
এ নিয়ে রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন নিপুণ।
নির্বাচন কমিশনার জায়েদ খানের চক্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, পীরজাদা হারুন আপনার কী স্বার্থ ছিল, কেন এমন করলেন আমাদের সঙ্গে? ভোটারদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে আপনার কাছে অভিযোগ করেছি, কিন্তু আপনি পদক্ষেপ নেননি। নিয়ম কানুন কি কাঞ্চন নিপুন-প্যানেলের জন্য ছিল? নির্বাচন কমিশনার একটি চক্র, এটা জায়েদ খানের চক্র।
নিপুণ আরও বলেন, তার সঙ্গে ছিল এফডিসির এমডিও। তারা তিনজন মিলে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমার মনে হয় এ বিষয়ে তদন্ত করা উচিত।
এর আগে নিপুণ জানিয়েছিলেন, ভোটের হিসেবে গড়মিল রয়েছে। নির্বাচন চলাকালীনও বেশ কিছু অভিযোগ আমি করেছি। সবমিলে ফলাফলে সন্তুষ্ট নই। কারচুপির আশঙ্কা করছি। তাই কমিশন বরাবর আপিল করেছি।
এর আগে ভোট চলাকালীনও নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের বিরুদ্ধে চাদরের নিচ দিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন নিপুণ।
এ ব্যাপারে সভপাতি পদে বিজয়ী ইলিয়াস কাঞ্চন শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, দুপুর ১টার মধ্যে আপিল করার কথা ছিল। আপিল করা হয়েছে। ২৬ টি ব্যালট বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে। তা কি সঠিকভাবে হয়েছে কি না তা জানতে আপিল করা হয়েছে। এটা কিভাবে হয়েছে তা যাচাই বাছাই করার জন্য আপিল করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট, অন্যদিকে নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিপুনের ২৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির ৪৪ অভিনয়শিল্পী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৪২৮ জন ভোটার ২২ জনকে প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার নির্বাচন করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)