সোমবার, মে ৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী’র ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটারের দোকান সরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক প্রতিবন্ধী’র ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটারের দোকান সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের কামালনগর এলাকার মো. খলিলুর রহমানের ছেলে শারিরীক প্রতিবন্ধি মো. বায়েজীদ হাসান। তিনি বলেন, জন্মগত ভাবে শারিরীক প্রতিবন্ধী। যার সমাজসেবা পরিচয়পত্র নং- ১৯৭৮৮৭২৮২০৮১৬০৪১৯-০২। ২০০৫ সালে খুলনা বি এল বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে অনার্সসহ বাংলায় এম এ পাশ করার পর কোন সরকারি বা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না পেয়ে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করার মানসে ২০১৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ও সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র এম এ জলিল এঁর কাছে একটি আবেদন করি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত স্থানে বতর্মান পেট্রো বাংলা’র চেয়ারম্যান ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র এম এ জলিল ১১ জানুয়ারি ২০১৫ ইংরেজি তারিখে যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে উক্ত স্থানে আমাকে একটি ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছিল। তখন থেকে ওই জায়গায় ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা’র উপার্জিত অর্থ দিয়ে মা-ভাই, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকমে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার চেষ্টা করছিলাম। ভালোই ছিলাম। তবে করোনা মহামারী আমার সেই অর্থ উর্পাজনের পথটি রুদ্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে নিজের আয়ের পথকে সুদৃঢ় করতে আবারও সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে একটি ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করার চেষ্টা করি। মোটামুটি ভালোই যাচ্ছিলো দিনগুলো। আমি ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উক্ত স্থানে একটি বাশেঁর খুটি স্থাপন (পুতি) নাই। তবে নিউ মার্কেট এলাকার মহাসড়কে প্রচুর ধূলাবালির স্তূপে বাতাসের তীব্র বেগ ও বৃষ্টির কারনে আমার অর্থ উর্পাজনের একমাত্র অবলম্বন কম্পিউটার ও প্রিন্টারগুলো নষ্ট হয় পরে ঋণ নিয়ে আবারও ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকি। ফলশ্রুতিতে আমি ওই জায়গায় একটি ভ্রাম্যমান চাকা যুক্ত টল যা প্রয়োজনে স্থানান্তর করার স্বার্থে নির্মান করার চেষ্টা করি। এবং উক্ত টলটি ৫ ডিসেম্বর ২০২২ ইংরেজি তারিখে উক্ত স্থানে বসিয়েছিলাম। অত:পর আমার সেই টলটি ৬ ডিসেম্বর সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের একটি মৌখিক নির্দেশনায় পৌর কর্মচারীরা সরিয়ে দেয়। আমাদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই আমার আয়ের উপর নির্ভরশীল। অথচ এখন আমার আয়ের পথটি বন্ধ। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও চরম অর্থ কষ্টে ভুগছি। আমি একজন প্রতিবন্ধী হয়ে জীবন জিবীকার তাগিদে যে সংগ্রাম করতেছি তাতে সহায়তা না করে আমাকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

উল্লেখ্য আমি জায়গা দখলের মানসিকতা নিয়ে উক্ত টলটি করিনি। উপরোক্ত জায়গায় ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করে যাহাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি তাহার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার অভ্যন্তরে ২৯৫.৪১ কি. মি. সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে পাকা সড়ক ২০১.০৯৮ কি. মি. ও কাঁচা সড়ক ৪২. ৩০ কি. মি. এবং এইচ বি.বি/ সোলিং সড়ক ৫৩.১০ কি. মি। কলারোয়া পৌরসভার অভ্যন্তরে ৬৩.৮৪ কি. মি. সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে পাকা সড়ক ৫৬.০৪ কি.মি. ও কাঁচা সড়ক ৭.৮০ কি. মি.। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর অভ্যন্তরে ২৬৫.৯৪ কি. মি. জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৯.৪৫ কি. মি. ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ৫১.৮০ কি. মি. এবং জেলা মহাসড়ক ২০৪.৬৯ কি. মি.। ¯’ানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অভ্যন্তরে ৬৯৮৮ কি. মি. সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে পাকা সড়ক ৩৪৮৪ কি. মি. ও কাঁচা সড়ক ১৮১২ কি. মি. এবং এইচ বি.বি/ সোলিং সড়ক ১৬৯২ কি. মি.। এছাড়াও জেলার ৭৮ টি ইউপিতে রয়েছে প্রায় ১ হাজার কি. মি. এর অধিক কাঁচা-পাকা ও এইচ বি.বি/ সোলিং সড়ক। উপরিউক্ত সড়কগুলোর পাশাপাশি হাট-বাজারে প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ভাসমান (বিভিন্ন শ্রেণির) দোকান রয়েছে। এরমধ্যে অন্যান্য ভাসমান দোকান মালিকরা তাদের দোকান পরিচালনা করছে দেদারছে। অথচ সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট এর সামনে আমার দোকানসহ আরও ৫ টি দোকান সরিয়ে দেয়। ফলশ্রুতি আমরা সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছি। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের উক্ত দোকানগুলো সরিয়ে দেয় তাহলে আগে আমাদের জন্য একটি পুর্নবাসনের ব্যবস্থা তো করবে। তবে সেটি অদ্যবধি করছে না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি-প্রয়োজনবোধে একাধিক হর্কাস মার্কেট করুন, যেখানে আমার মতো কতশত মানুষ ব্যবসা পরিচালনা করে স্বাভাবিকভাবে পরিবার নিয়ে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে উক্ত স্থান ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকিব। মো. বায়েজীদ হাসান বলেন, আপনারা সকলে অবগত আছেন আমার ভ্রাম্যমান কম্পিটারের দোকানে ২০১৭ জেলার প্রায় অর্ধশত বেকার তরুণ-তরুণীকে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যার ফলে তারা তাদের অভিশপ্ত বেকার জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে। এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে আমার জীবন ও কর্ম নিয়ে ইত্যাদি কক্সবাজার ইপিসোড এ (৪৩.০০ মিনিটে) একটি ব্যতিক্রমী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। যেটি দেখেছিল সাতক্ষীরা-০২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তখনও আমি এই স্বাধীন দেশের স্বাধীন মাটিতে (সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে) একটি ভ্রাম্যমান কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করি। আমি টল দোকান বসিয়ে আমি অন্যায় করেছি ভাল কথা, সে কারনে সাতক্ষীরা পৌরসভা আমাকে যে কোন প্রকার শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু আমার আশে পাশের দোকান গুলো ভেঙ্গে দেয়ার কারনাটা কি? পৌরসভা কর্তৃক অন্যান্য কোন জায়গার দোকান ভাঙ্গেনি বরং আমার বিরুদ্ধে তাদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্যই তাদের দোকান গুলো ভেঙ্গে দিয়েছে।

সাধারনত কোন কিছু অপসারন করার প্রয়োজন পড়লে লিখিত নোটিশ দেয় এবং পৌর মেয়ার বা জেলা প্রশাসন কর্তৃক সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়। আমাদের ক্ষেত্রে করা হয়েছে সম্পূর্ণ সাতক্ষীরা পৌরসভার স্বেচ্ছাচারিতা যে টা কোন ভাবেই আইন সম্মত নয়। তারা কোন লিখিত নোটিশ না দিয়েই ভাঙ্গতে চলে এসেছে যে টা এদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী। আমরা দোষী যে সরকারি জায়গায় দোকান বসিয়ে আমরা আমাদের পরিবার ও সংসার পরিচালনা করছি। সাতক্ষীরা শহরে আর কি কোন দোকান নেই যে, জোর পূর্বক দখল করে আছে। সেখানে সাতক্ষীরা পৌরসভা কি করতে পেরেছে ? শুধুমাত্র আমাদের ক্ষেত্রেই সাতক্ষীরা পৌরসভা বাহুদুরি দেখাতে পেরেছে? সর্বপরি আমার নতুন টলটি সরজমিনে দেখার অনুরোধ রইল জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দের। আমি কখনও কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তার সাথে অসদাচরণ করিনি। অথচ আজ কেন আমার সেই দোকানটি সাতক্ষীরা পৌরসভার কতিপয় কর্মকর্তার ইন্ধনে কতিপয় কর্মচারী বিনা নোটিশে সরিয়ে দিলো তা বোধগম্য নহে।

উপরিউক্ত বিষয়গুলো অনুধাবন করিয়া সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তা আমারসহ আরও ৫টি দোকান যাহাতে উক্ত স্থানে পরিচালনা করার সুব্যবস্থা করিয়া দেয় (নিউ মার্কেট না হওয়া পর্যন্ত) তাহার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনাবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’ এই প্রতিপাদ্যেবিস্তারিত পড়ুন

বিজিবির অভিযানে জেলি পুশকৃত ৩শ’ কেজি চিংড়ি জব্দ, পাঁচ জনকে জরিমানা

গাজী হাবিব: সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর জেলি পুশের অভিযোগে তিনশ কেজি বাগদা ও গলদাবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় দেশীয় ওয়ান শুটার গানসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার
  • সাতক্ষীরায় মে দিবসে হোটেল রেস্তরা ও বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের আলোচনা সভা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে সাতক্ষীরা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‌্যালি
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের র‌্যালি ও আলোচনা সভা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে সাতক্ষীরা ফার্নিচার ও রং শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
  • কলারোয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরী, টাস্কফোর্স অভিযান
  • তালায় গায়ে আ*গু*ন দেয়া সেই কলেজ ছাত্রী মা*রা গেছে
  • সাতক্ষীরায় শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের বর্ণাঢ্য র‌্যালি
  • সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস পালিত
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আলোচনা সভা
  • সাতক্ষীরা ৫ মে থেকেই বাজারে আসবে আম
  • সাতক্ষীরায় শিশু রাহি হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা