আশাশুনিতে ১৪ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ঘের লুটপাট ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আশাশুনির শ্রীউলায় সাকিল বাহিনী এবং আওয়ামী শাসন আমলের হাইব্রিড (বর্তমান বিএনপি) শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক নিরঅস্ত্র অসহায় মানুষের নগ্ন হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ১৪ টি পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রীউলা ইউনিয়নের রেবেকা খাতুন।
এসময় ১৪ টি পরিবারর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, শাকিল বাহিনী এবং আওয়ামীলীগের শাসন আমলের হাইব্রিড আ.লীগের (বর্তমান বিএনপি) শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী ৬ আগস্ট‘২৪ বিকেলে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করে। আমাদের ১৪ পরিবারে সবকিছু লুট করে আগুন জ¦ালিয়ে ছাই করে দিয়েছে। ওই সময় আমাদের বাড়ি পুরুষ শন্য ছিলো। বৃদ্ধ এবং শিশু বাচ্চাদের জীবন রক্ষার্থে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আমাদের গরু,ছাগল,হাস,মুরগী, গাছের ফসল এবং ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। কোন জামায়াত বিএনপি হামলা না করলেও শাকিলের লোকজন এবং হাইব্রিড আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগীরাই আমাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। গত ছয় তারিখ থেকে আজ ২৫ দিন অবৈধভাবে আমাদের মৎস্যঘের দখলে রেখেছে। আমরা বাড়িতে ফিরতে পারছি না গত ৪/৫ দিন আগে আমাদের কয়েকটি পরিবার বাড়িতে গেলে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী আবারও হামলা করে। বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বিগত আওয়ামী শাসন আমলে শ্রীউলা ইউনিয়নের একছত্র অধিপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল , তিনি পর্দার আড়ালে থেকে হামলা পরিচালনা করেছে। আওয়ামী শাসন আমলে শাকিলের সাথে অনেক বার আলাউদ্দিন লাকীর লোকজনের বিরোধ হয়েছে। লাকীসহ তার লোকজন একটি দিনের জন্যও শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। গত নির্বাচনে জনগন শাকিলকে প্রত্যাখান করে ৫ জুন ২০২২ লাকী, মুকুলের মনোনীত প্রার্থী দ্বীপঙ্কার বাছাড় দীপুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। শাকিল উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও তার কোন ক্ষয়ক্ষতি হলো না। উপরন্ত শাকিলের নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের খালাতো ভাই আক্তারুজ্জামান রিটু বিভিন্ন অপরাধ জম্ম দিয়েছে। হাইব্রিড আ’লীগ রাজু ও মোশারাফ হোসেন মজনুর নের্তৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাড়িঘর লুট করে আগুন জালিয়ে দিয়েছে। আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস মৎস ঘের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। বৃদ্ধ বাবা,মা,সন্তানদের বাঁচাতে আমরা বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছি। বাড়িতে গেলে খুন, জখমসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। ৬ আগস্ট শ্রীউলা ইউপির এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবু হাসানের বাড়ি জ¦ালিয়ে দেয়। হাসান মেম্বর ১৩ আগস্ট বাড়িতে গেলে শাকিলের সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে কুপিয়ে মৃতভেবে ফেলে যায়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন হাসান মেম্বর। গত ৪/৫ দিন আগে আমাদের পরিবারের মহিলারা বাড়িতে গেলে রাজুর বোন তাদের উপর হামলা করে। যে কারনে আবারও বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। শ্রীউলা ইউনিয়ন দুটো গ্রæপে বিভক্ত। এক গ্রæপে নের্তৃত্ব দেয় শাকিল এবং অপর গ্রæপে আলাউদ্দিন লাকী। পটপরিবর্তনের সুযোগে শাকিল তার বাহিনী দিয়ে লাকীর লোকজনদের চিরতরে ভিটাছাড়া করার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। রাজুর পিতা আ: হাকিম হত্যার ঘটনায় লাকীসহ ৪৫ জনকে শাকিলের ইচ্ছায় আসামী করা হয়েছিলো। শাকিল তার প্রয়োজনে রাজুকে বার বার ব্যবহার করছে। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনের আগে লাকিসহ তার লোকজনদের ফাঁসানোর জন্য ডাবলু নামের একজনকে হত্যা করে ঘেরে ফেলে রেখেছিলো।
এটা ছিলো নির্বাচনে পাশ করার আরও একটি ছক। কিন্ত শাকিল নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই আটকে যায়। ওই মামলায় শাকিল বাহিনীর প্রধান আক্তারুজ্জামান রিটু, রিটুর আপন শ্যালক মধ,ুমোশারাফ হোসেন মজনুসহ ১০ জন আসামী হয়। তাদের নামে চাজসির্টও হয়েছে। শাকিল ওই মামলার আসামী তালিকায় না থাকায় বাদী কোটে নারাজি দিলে আদালত মঞ্জুর করে। বর্তমানে মামলা সিআইডিতে তদন্তধীন আছে। সাকিলের সহযোগী আক্তারুজ্জামান রিটু, এবং হাইব্রিড আ্#৩৯;লীগ রাজু, মোশারাফ হোসেন মজনুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ,যুবলীগের মন্টু, রহমত, শফি, রনি, মহাসিন, রনি-২ রানা, অমিত,কামু, সৌরব, ফারুক, তৈয়বুর, আসিফ, ছোট, শরিফুল ,বাবু গাজীসহ আরো ৭০/৮০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ১৪ টি পরিবারের সবকিছু লুট করে বাড়িতে আগুন দিয়ে ছায় করে দিয়েছে। আলাউদ্দিন লাকী,মুকুল, জালাল হামিদ, হাসান মেম্বর, নাসিম, জাহাঙ্গীর, ইয়াসিন, রবিউল, সাকি, মিটু, আল আমিন, হুমায়ন ও তাহের মল্ল্যা উক্ত ১৪ পরিবারে প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতি এবং লুট করে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ১৪ পরিবারের আকুতি শান্তিতে নিজ বাড়িতে পরিবার নিয়ে ফিরতে পারে তার সুব্যবস্থা এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ,সেনা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)