বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ চালক তৈরিতে এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। লাইসেন্স পেতে এখন আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। একদিনের মধ্যেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক পদ্বতিতে আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণের কার্যক্রম শেষ করা হবে। সরকার সকল সেবাকে সহজ করতে চায়। তারাই ধারাবাহিকতায় এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের নিচ তলায় ১১০ নং রুমের সামনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
এদিকে সেবা সহজিকরণ হওয়ায় খুশি সেবা গ্রহীতারা। তাদের দাবি একটি লাইসেন্স করতে ৪/৫ বার আসা লাগতো। একদিনে সেবা নিশ্চিত হওয়ায় তাদের ভোগান্তি ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
দীর্ঘদিনের অভিযোগ এবং ভোগান্তির অবসান হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের। এখন থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে লাইসেন্স। এদিকে সকাল থেকেই আবেদনকারীরা বিআরটিএ অফিসে ভীড় জমিয়েছেন। একদিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা।
জানা যায়, পূর্বে পেশাদার লাইসেন্স পেতে পরীক্ষা নেওয়ার ১৫ দিন পর দেওয়া হতো পরীক্ষার ফলাফল। এরপর সাত থেকে দশদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশন হাতে পাওয়ার সপ্তাহখানেক পর নেওয়া হতো আঙুলের ছাপ। এরপর বছরের পর বছর ঘুরেও মিলতো না ড্রাইভিং লাইসেন্স। লাইসেন্স প্রত্যাশীদের এ ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়ন করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটির মাধ্যমে একদিনে আঙুলের ছাপ ও পরীক্ষা নেওয়াসহ সকল কার্যক্রম শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যাবে। এ লাইসেন্স আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবীর বলেন, আগে পরীক্ষার্থীদের বিআরটিএ অফিসে একাধিকবার আসতে হতো। এখন একবারই আসবেন লাইসেন্স প্রার্থী। একদিনে লাইসেন্স প্রার্থী ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিবেন এবং একইদিনে বায়োমেট্রিক দিয়ে চলে যাবেন। এতে গ্রাহকদের সেবার মান বাড়বে। বায়োমেট্রিক একবারের জন্যই নেওয়া হবে। কিন্তু যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় ফেল করবেন, তাকে পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। তার আর কোনও বায়োমেট্রিক দিতে হবে না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা মিনিবাস, বাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক আশেক ই এলাহী, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক রামকৃষ্ণ পোদ্দার, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক শ্যামল কুমার চৌধুরী, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: জয়ন্ত কুমার, সাতক্ষীরা বিআরটিএ মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান, উচ্চমান সহকারী শেখ মামুন আল হাসান উল্লা, অফিস সহকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিল মেকানিক শেখ আমিনুর হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।