কলারোয়ায় দুই জ্বীনের বাদশা আটক


সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুইজন জ্বীনের বাদশা আটক হয়েছে। গণধোলাই শেষে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি স্বর্নকারটিলা গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হক হাওলাদার (৪৫) ও কলারোয়ার ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রহমান হাওলাদার (৫২)।
কলারোয়া থানায় দুইজন জ্বীনের বাদশা আটক।
উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের শেহের আলীর আমবাগানের মধ্য থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা গ্রেফতার হয়।
তাদের নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা, লাল সুতয় বাঁধা একটি তাবিজ, ২ প্যাকেট সীদুঁর উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আজমির শরিফে মাদরাসা তৈরি করে দেয়ার নামে দেড় লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও গভীর রাতে টাকা নিতে এসে ওই দুই জ্বীনের বাদশাকে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাইয়ের শেষে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ৭ মাস পূর্বে উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত তালুকদারের ছেলে শের আলী (৭২) এর সাথে একই এলাকার মৃত হাশেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রহমান হাওলাদার (৫২) এর মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিডাঙ্গা থানার স্বর্ণকারটিল গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হক হাওলাদার (৪৫) এর পরিচয় হয়। এই পরিচয় সূত্রে আজমির শরিফে মাদরাসা করিয়ে দেয়ার নাম করে দেড় লাখ টাকা নেয় ওই জ্বীনের বাদশা। কিন্তু ওই জ্বীনের বাদশা আজমির শরিফে কোন মাদরাসা না করে লাপাত্তা হয়ে যায়। দীর্ঘ ৭ মাস পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিকে ওই দুই জ্বীনের বাদশা শের আলীর বাড়ীতে এসে ৩টা তাবীজ ও ২ কোটা সিঁদুর নিয়ে হাজির হয়। এসময় বলা হয় এই রাতে ১লাখ টাকা গাছের ডালে বেধে রাখলে সকালে ২লাখ টাকা হয়ে যাবে। আর এই তাবীজ ও সিঁদুর বাড়ীতে রাখলে টাকায় বাড়ী ভরে যাবে। তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ ও পূর্বে দেড় লাখ টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ওই দুই জ্বীনের বাদশাকে ধরে গণধোলাইয়ের শেষে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর জানান, সংবাদ পেয়ে থানার এসআই রঞ্জন কুমার মালো সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামস্থ শেহের আলীর আমবাগানের মধ্য থেকে তাদের দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
