কালিগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কাল্পনিক চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
কালিগঞ্জের নলতায় ব্যবসায়ীকে কাল্পনিক চুরির মামলায় আটকের পর দেশের বিভিন্ন থানায় ১২টি পেন্ডিং মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐ এলাকার আবুল খায়েরের স্ত্রী আয়েশা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মৎস্যঘের এবং রড সিমেন্টের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রতিপক্ষের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ আমার স্বামীকে একে পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর ২৪ তারিখ রাতে কালিগঞ্জ থানার দারগা সুকদেব পাল আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ২০২৩ সালের কালিগঞ্জ থানার একটি চুরির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে একের পর এক খুলনা, যশোরসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন থানার পেডিং থাকা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে থাকে। ১২ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ রাতে পুলিশ রিমান্ডের নামে স্বামীকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যায়। সে সময় আমার বাড়িতে কিছুই না পেয়ে তাদের পকেট থেকে দুটি স্বর্ণের দুল আমার বাজারের ব্যাগের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। যেটা আমি, আমার শ^াশুড়ী খায়রুন নেছা এবং প্রতিবেশী হোসেন গাজী স্বচোক্ষে দেখেছি। পরবর্তীতে ব্যাগের মধ্যে থেকে ওই পুলিশ সদস্যই দুল দুটি বের করে, চুরির মালামাল আমার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মর্মে দেখানো হয়। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কেন চুরির মত কাজে জড়িত হবে সেটি আমাদের বুঝে আসে না।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। কালিগঞ্জের রায়পুর বাজারে তার বড় রড সিমেন্টের দোকান রয়েছে। ঘের ভেড়ী রয়েছে। তার পক্ষে চুরির মত জঘন্য কাজ করাটা কিভাবে সম্ভব। আমাদের ধারনা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে কালিগঞ্জ থানার এস আই ফরিদ, সুকদেব পালসহ অন্যরা আমার স্বামীকে ফাঁসাচ্ছে। একটি দুটি মামলা হলেও বিষয়টি ভিন্ন ছিলো। কিন্তু মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে তাকে ১২টি মামলায় জড়ানো হলো। অথচ যেদিন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। সেই দিনও সারাদিন তিনি দোকানেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে যাওয়ার পর তাকে পরিকল্পিতভাবে তুলে নিয়ে ডজন খানেক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলায় স্বামী কারাগারে থাকায় আমার দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কি কারনে এমনভাবে আমার স্বামীকে হয়রানি করা হচ্ছে, কারা করছে সেটিও জানি না। কালিগঞ্জ থানার ওই দুই দারগার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সাথে সাথে হয়রানি মূলক সকল মিথ্যা মামলা থেকে আমার স্বামীকে অব্যাহতি পূর্বক মুক্তি এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)