শুক্রবার, আগস্ট ১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

জাতীয় সরকারের প্রস্তাবে রাজি হননি তারেক, সায়েররা আর্মি ক্যু চেয়েছিল : নাহিদ ইসলাম

জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাতে ‘সম্মত হননি’ বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

ছাত্রদের কাছ থেকে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব না পাওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য ‘সত্য নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয় নাই। তারা অন্য মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা পেয়েছিল। এ বক্তব্যটি সত্য নয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেন এনসিপির এ শীর্ষ নেতা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা বলেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার করতে চাই। সেই ব্রিফিংয়ের পর জনাব তারেক রহমানের সঙ্গে আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং হয়, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি। তিনি নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাজেশন দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বলি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ৭ আগস্ট ভোরে মির্জা ফখরুলের বাসায় আমরা উনার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা করি। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেবার আগে তারেক রহমানের সঙ্গে আরেকটি মিটিংয়ে প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে সাবেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটা টকশোতে বলেছেন ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল, শিবিরের ইনস্ট্রাকশনে আমরা কাজ করতাম। এটা মিথ্যাচার। ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের সাথে জড়িত একটা অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটা অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সাথে জাবির একটা স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করছি। ফলে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সকল পক্ষের সাথেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সাথেও যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনো সহযোগিতা করা মানে এই না যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।

‘দ্বিতীয়ত, সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ই অগাস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিসে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগবাঁটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো।’ বলেন নাহিদ ইসলাম।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ২রা অগাস্ট, ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্যে কথিত সেইফ হাউজে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেইট করা হয় যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে আর আমাদের সাথে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে আগাতে হবে। ৫ই অগাস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সায়েরগং ৫ই অগাস্টের পর বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে। সেক্ষেত্রে সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে। এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়ের গংদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে। কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা হেন কোনো কাজ নাই হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে এ দেশের ইতিহাসে এরকম কখনো হইছে কিনা জানা নাই। কিন্তু মিথ্যার উপর দিয়ে বেশিদিন টিকা যায় না। এরাও টিকবে না।

কোনোভাবে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেবো না, এটি প্রথম থেকেই স্পষ্ট ছিল

কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে ক্ষমতা না দেওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে স্পষ্ট অবস্থান ছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় সরকার, নতুন সংবিধান ও নানারকম ঢালাও প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেন এনসিপির এ শীর্ষ নেতা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ২ আগস্ট, ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা (প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক) একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশে কথিত সেইফ হাউজে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয়। যেন সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য ছিল একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে, ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

‘এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে আগাতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।’

জুলকারনাইন সায়েরের ভূমিকা বিষয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সায়ের গং ৫ আগস্টের পর বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে। সেক্ষেত্রে সাদিক কায়েমদের (শিবির নেতা) ব্যবহার করেছে। এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়ের গংদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এনসিপির এ নেতা বলেন, কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা হেন কোনো কাজ নাই হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে এদেশের ইতিহাসে এরকম কখনো হয়েছে কি না জানা নাই। কিন্তু মিথ্যার ওপর বেশিদিন টিকা যায় না। এরাও টিকবে না।

একই রকম সংবাদ সমূহ

যা কিছুই হোক, নির্বাচনে দেরি হবে না : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আগামী পাঁচ-ছয় দিনে আমরা বুঝব,বিস্তারিত পড়ুন

কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা : আইন উপদেষ্টা

আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচারবিস্তারিত পড়ুন

১০০ আসনে হবে সংসদের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়ন

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ১০০ আসনের একটিবিস্তারিত পড়ুন

  • মাথায় খুলি না থাকা শিশুর কথা বর্ণনায় কান্নাজড়িত কণ্ঠ ফখরুলের
  • বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে জামায়াত
  • গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি: সেনাসদর
  • মেন্দি সাফাদির সঙ্গে দেখা করার কথা স্বীকার করলেন নুর
  • গু/ম ও ক্র/সফায়া/রের নির্দেশনা আসতো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে, করতো র‍্যা/ব
  • দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত হবে ‘জুলাই সনদ’
  • ২৪’র আগস্ট নিয়ে নাহিদের পোস্টে জানা গেলো অজানা কথা
  • খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁ/দাবা/জি, ১৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
  • প্লট দুর্নীতি : শেখ হা/সিনা-জয়-পুতুলের বিচা/র শুরু, গ্রে/প্তারি পরোয়ানা
  • প্লট দুর্নীতি : শেখ রেহানাসহ তিন সন্তানেরও বিচার শুরু, গ্রে/প্তারি পরোয়ানা