মঙ্গলবার, আগস্ট ১৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ড্যান মজিনার পথেই কি হাঁটছেন পিটার হাস?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে আর সময় আছে প্রায় দুই মাস। ফলে দিন যতই কমে আসছে, রাজনীতির মাঠ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর বিরোধীদলীয় দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দমিয়ে রাখতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে পুলিশ।

এদিকে এবারের জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলের বাইরেও সোচ্চার আছেন বিশ্বের অনেক প্রভাশালী দেশ ও সংগঠন। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও বেশ আলোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেমন ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত গোলাম মাওলা রনি।

রনি বলেন, আজকে পিটার ডি হাস যেমন রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের দিকে ড্যান মজিনা নামে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনিও একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।

ওই সময়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো। ওই সময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির খুব সুসম্পর্ক ছিল। আমেরিকা তখন বাংলাদেশের যে কোনো বিষয়ে দিল্লির পরামর্শে চলত।

কারণ ২০১৪ সুজাতা সিং বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। যিনি ভারতের বহিঃগোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তার এই কর্তৃত্বের মধ্যেও ড্যান মজিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এককথায় আজকের পিটার ডি হাসের মতো মজিনাও চেয়েছিলেন বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হোক।

ওই সময় আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলে। পরে ঘোষণা দেয়, পরে আরেকটি নির্বাচন করব, সেখানে সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে। তবে পরে আর আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি। কিন্তু ড্যান মজিনা আওয়ামী লীগের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন। ফলে বিএনপিকে আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনও বন্ধ করিয়েছিলেন ড্যান মজিনা।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কথা না রাখলে তিনি খুবই বিব্রত ও লজ্জিত হয়ে পড়েন। এর পর কিছু দিন বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকারও হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা তাকে ‘কাজের মেয়ে মর্জিনা’ বলে সম্বোধনও করেছিল। এর পরও মর্জিনা আওয়ামী লীগের কিছুই করতে পারেনি। বরং নাকে ক্ষত দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল।

এদিকে গত কয়েক বছর থেকে পিটার ডি হাস প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমনকি ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে আমেরিকার যেসব বলিষ্ঠ কর্মকাণ্ড রয়েছে, এগুলোকে প্রয়োগ করার জন্য তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। যথেষ্ট শ্রম দিচ্ছেন। বর্তমানে কিন্তু ড্যান মজিনার মতো তিনিও আওয়ামী লীগের কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের স্বীকার হচ্ছেন। অনেকে তাকে বিরোধী দলীয়দের ত্রাণকর্তা বলছেন। পিটার ডি হাসের কাছে যে বিএনপির জনপ্রিয়তা সেটি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের লোকজন সহ্য করতে পারছেন না। ড্যান মজিনার মতো পিটার ডি হাসকে অনেক নামে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের লোকজন।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা, নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আসছে। আর থাকছে না নিবন্ধনবিস্তারিত পড়ুন

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমরা তা এখনো পুরোপুরি আহরণবিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রথম নারী সচিব রেহানা পারভীন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

  • ৩ শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যেতে পারে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • যারা পিআর দাবি করে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক: রিজভী
  • ডিবি হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • জাতীয় পার্টি জিন্দা লা/শ: শেখ হাসিনা
  • চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ: ইসি সচিব
  • যিনি সম্মানের যোগ্য, তাকে সেই সম্মান দিতে হবে : জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে মাহফুজ
  • এবার সামনে এলো হাসিনা ও ইনুর চাঞ্চল্যকর অডিও রেকর্ড
  • জুলাই সনদ: ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আইনসভা ২ কক্ষের, প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান নয়
  • ‘না ভোট’ রাখার প্রস্তাব দেয়নি বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
  • প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • প্রধান উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই : রিজওয়ানা
  • রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: রিজওয়ানা