রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ড্যান মজিনার পথেই কি হাঁটছেন পিটার হাস?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে আর সময় আছে প্রায় দুই মাস। ফলে দিন যতই কমে আসছে, রাজনীতির মাঠ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর বিরোধীদলীয় দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দমিয়ে রাখতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে পুলিশ।

এদিকে এবারের জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলের বাইরেও সোচ্চার আছেন বিশ্বের অনেক প্রভাশালী দেশ ও সংগঠন। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও বেশ আলোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেমন ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত গোলাম মাওলা রনি।

রনি বলেন, আজকে পিটার ডি হাস যেমন রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের দিকে ড্যান মজিনা নামে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনিও একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।

ওই সময়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো। ওই সময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির খুব সুসম্পর্ক ছিল। আমেরিকা তখন বাংলাদেশের যে কোনো বিষয়ে দিল্লির পরামর্শে চলত।

কারণ ২০১৪ সুজাতা সিং বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। যিনি ভারতের বহিঃগোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তার এই কর্তৃত্বের মধ্যেও ড্যান মজিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এককথায় আজকের পিটার ডি হাসের মতো মজিনাও চেয়েছিলেন বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হোক।

ওই সময় আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলে। পরে ঘোষণা দেয়, পরে আরেকটি নির্বাচন করব, সেখানে সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে। তবে পরে আর আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি। কিন্তু ড্যান মজিনা আওয়ামী লীগের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন। ফলে বিএনপিকে আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনও বন্ধ করিয়েছিলেন ড্যান মজিনা।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কথা না রাখলে তিনি খুবই বিব্রত ও লজ্জিত হয়ে পড়েন। এর পর কিছু দিন বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকারও হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা তাকে ‘কাজের মেয়ে মর্জিনা’ বলে সম্বোধনও করেছিল। এর পরও মর্জিনা আওয়ামী লীগের কিছুই করতে পারেনি। বরং নাকে ক্ষত দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল।

এদিকে গত কয়েক বছর থেকে পিটার ডি হাস প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমনকি ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে আমেরিকার যেসব বলিষ্ঠ কর্মকাণ্ড রয়েছে, এগুলোকে প্রয়োগ করার জন্য তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। যথেষ্ট শ্রম দিচ্ছেন। বর্তমানে কিন্তু ড্যান মজিনার মতো তিনিও আওয়ামী লীগের কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের স্বীকার হচ্ছেন। অনেকে তাকে বিরোধী দলীয়দের ত্রাণকর্তা বলছেন। পিটার ডি হাসের কাছে যে বিএনপির জনপ্রিয়তা সেটি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের লোকজন সহ্য করতে পারছেন না। ড্যান মজিনার মতো পিটার ডি হাসকে অনেক নামে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের লোকজন।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে সেনাবাহিনী প্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্য সকল ধর্মাবলম্বীদের সহযোগিতা ও সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমেবিস্তারিত পড়ুন

নতুন পরিচয়ে ফের বাংলাদেশে আসছেন পিটার হাস

বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ঢাকায় নিযুক্ত সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিটারবিস্তারিত পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হলেও সিদ্ধান্ত হয়নি: ভয়েস অব আমেরিকাকে প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বা আগামী নির্বাচন কবে হবে— উপদেষ্টা পরিষদে এ নিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • একদিনে তিন সাবেক এমপি আটক
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
  • বড় নিয়োগ আসছে পুলিশ, বিজিবি ও আনসারে
  • সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আটক, ৫ দিনের রিমান্ডে
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালককে নতুন রিকশা দিলো বিএনপি
  • পাচার অর্থ ফেরাতে বিদেশে ৭১ চিঠি দুদকের
  • অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা দরকার: ফরহাদ মজহার
  • সেপ্টেম্বরে এলো ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
  • শেখ হাসিনা তার ছেলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন : সাংবাদিক শফিক রেহমান
  • বিমানবন্দরে আটক সুলতান মনসুর
  • আদালতে সাংবাদিক শফিক রেহমানের আত্মসমর্পণ
  • আমির হোসেন আমু লুকিয়ে আছেন সন্দেহে ভবন ঘেরাও