সোমবার, মে ১২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ড্রোন দিয়ে নকশা করে ফসলি জমি দখল করতেন বেনজীর

নিজের জমিতে আর কখনো চাষাবাদ করতে পারবেন না, এমন চিন্তাতেই শত শত কৃষক এখন বেছে নিচ্ছেন অন্য পেশা। হুমকির আতঙ্কও কাটেনি বাসিন্দাদের। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক নির্মাণের আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত থেকে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে প্রথমে নকশা করেন। পরে ফসলি জমিতে পিলার দিয়ে দখলে নেন বেনজীরের লোকজন। ভয়ভীতি দেখিয়ে লিখে নেন সম্পত্তি।

হিন্দু অধ্যুষিত গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়ন। এখানকার বৈরাগীর টোল গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল বল। আড়াই বছর আগেও তার ছিল দুই বিঘা ফসলি জমি। ধান, সরিষা ও আলু ফসল ফলাতেন তিনি। চাপের মুখে পড়ে এই জমি লিখে দিতে হয়েছে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারকে। চোখেমুখে এখনো বিরাজ করছে আতঙ্ক। ফসলি জমি হারিয়ে এখন, বেঁচে থাকার জন্য বাড়ির কাছে নির্মাণ করছেন মুরগির খামার।

দেশজুড়ে যখন আলোচনায় সাবেক পুলিশ প্রধান, ঠিক তখনই একে একে মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, প্রথমে বেনজীর আহমেদ পুলিশ ও লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নকশা করেন, পরে পিলার দিয়ে দখলে নেন জমি। লিখে না দিলে শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। এভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে লিখে নেন শত শত কৃষকের জমি। আর কোনদিন জমিতে ফসল চাষাবাদ করতে পারবেন না, এতে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।

জানা যায়, জোর করে কৃষকদের সম্পত্তি লিখে নেয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জানান, গোপালগঞ্জে ৫০০ বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন সাবেক পুলিশ প্রধান। হিন্দুদের জমি জোর করে লিখে নিয়ে পার্ক বানিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। এসব ফসলি জমি ফেরতের পাশাপাশি তদন্তপূর্বক দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী জুয়েল বল বলেন, ‘আমাদের জমি দিতে চাই নাই। হিন্দু মানুষ ভয় আর আতঙ্কে দুই বিঘা জমি লিখে দেই। প্রথমে ড্রোন ব্যবহার করে জমি নকশার পর দখলে নেই। বলেছিল, টাকাও দিবে না। তাই সবকিছুই হারানোর ভয়ে জমি লিখে দেই। পরে বাধ্য হয়ে একটি মুরগির খামার বানাচ্ছি। জীবন বাঁচানোর জন্য বিকল্প পথ এটি।’

বৈরাগীর টোল গ্রামের কিরণ বল বলেন, ‘দুই থেকে আড়াই বছর আগে বেনজীর আহমেদ স্বয়ং উপস্থিত থেকে ড্রোন দিয়ে প্রথমে জমি পছন্দ করেন। পরে লাল পতাকা টানিয়ে আস্তে আস্তে দখল করে নেন জমি। অনেকেই টাকা না দিয়েই ভোগ করছেন ফসলি জমি। এতে অসহায় এখানকার কৃষকরা।’

জানা গেছে, স্থানীয় দুইজন প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে এই জমি কিনেন বেনজীর। এতে সহায়তা করেন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা।
সূত্র:সময় সংবাদ

একই রকম সংবাদ সমূহ

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের মসৃণ এবংবিস্তারিত পড়ুন

নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ICT কোচিং সেন্টার শনিবার রাতবিস্তারিত পড়ুন

ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত মহাসড়ক হবে ছয় লেনের : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এমবিস্তারিত পড়ুন

  • আইসিটি অ্যাক্টে আ’লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে : প্রেস সচিব
  • স্যুট পরে এলে ছাইড়া দিও না, খেয়াল রাইখো : বিমানবন্দর পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আটকের পরেও যে ফোনে আবদুল হামিদকে ছেড়ে দেয়া হয়..
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
  • ‘আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, এ যেন আরেক ‘জুলাই’
  • আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে মুখ খুললো সরকার
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: সরকারের বিবৃতি
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন মঈন খান
  • নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
  • দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নজরুলকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
  • সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরো বাড়লো
  • আবদুল হামিদের দেশত্যাগ : তদন্ত কমিটি গঠন, এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার