মঙ্গলবার, জুলাই ২৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ড্রোন দিয়ে নকশা করে ফসলি জমি দখল করতেন বেনজীর

নিজের জমিতে আর কখনো চাষাবাদ করতে পারবেন না, এমন চিন্তাতেই শত শত কৃষক এখন বেছে নিচ্ছেন অন্য পেশা। হুমকির আতঙ্কও কাটেনি বাসিন্দাদের। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক নির্মাণের আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত থেকে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে প্রথমে নকশা করেন। পরে ফসলি জমিতে পিলার দিয়ে দখলে নেন বেনজীরের লোকজন। ভয়ভীতি দেখিয়ে লিখে নেন সম্পত্তি।

হিন্দু অধ্যুষিত গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়ন। এখানকার বৈরাগীর টোল গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল বল। আড়াই বছর আগেও তার ছিল দুই বিঘা ফসলি জমি। ধান, সরিষা ও আলু ফসল ফলাতেন তিনি। চাপের মুখে পড়ে এই জমি লিখে দিতে হয়েছে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারকে। চোখেমুখে এখনো বিরাজ করছে আতঙ্ক। ফসলি জমি হারিয়ে এখন, বেঁচে থাকার জন্য বাড়ির কাছে নির্মাণ করছেন মুরগির খামার।

দেশজুড়ে যখন আলোচনায় সাবেক পুলিশ প্রধান, ঠিক তখনই একে একে মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, প্রথমে বেনজীর আহমেদ পুলিশ ও লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নকশা করেন, পরে পিলার দিয়ে দখলে নেন জমি। লিখে না দিলে শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। এভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে লিখে নেন শত শত কৃষকের জমি। আর কোনদিন জমিতে ফসল চাষাবাদ করতে পারবেন না, এতে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।

জানা যায়, জোর করে কৃষকদের সম্পত্তি লিখে নেয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জানান, গোপালগঞ্জে ৫০০ বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন সাবেক পুলিশ প্রধান। হিন্দুদের জমি জোর করে লিখে নিয়ে পার্ক বানিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। এসব ফসলি জমি ফেরতের পাশাপাশি তদন্তপূর্বক দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী জুয়েল বল বলেন, ‘আমাদের জমি দিতে চাই নাই। হিন্দু মানুষ ভয় আর আতঙ্কে দুই বিঘা জমি লিখে দেই। প্রথমে ড্রোন ব্যবহার করে জমি নকশার পর দখলে নেই। বলেছিল, টাকাও দিবে না। তাই সবকিছুই হারানোর ভয়ে জমি লিখে দেই। পরে বাধ্য হয়ে একটি মুরগির খামার বানাচ্ছি। জীবন বাঁচানোর জন্য বিকল্প পথ এটি।’

বৈরাগীর টোল গ্রামের কিরণ বল বলেন, ‘দুই থেকে আড়াই বছর আগে বেনজীর আহমেদ স্বয়ং উপস্থিত থেকে ড্রোন দিয়ে প্রথমে জমি পছন্দ করেন। পরে লাল পতাকা টানিয়ে আস্তে আস্তে দখল করে নেন জমি। অনেকেই টাকা না দিয়েই ভোগ করছেন ফসলি জমি। এতে অসহায় এখানকার কৃষকরা।’

জানা গেছে, স্থানীয় দুইজন প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে এই জমি কিনেন বেনজীর। এতে সহায়তা করেন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা।
সূত্র:সময় সংবাদ

একই রকম সংবাদ সমূহ

প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনা সদস্য কাজ করবে: প্রেস সচিব

আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনা সদস্য কাজ করবেন বলেবিস্তারিত পড়ুন

এক বছরে রেকর্ড ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করেছে সরকার

দেশের ইতিহাসে প্রথমবার এক বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধবিস্তারিত পড়ুন

  • চিকিৎসার জন্য আবারো লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
  • নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা
  • বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই : প্রধান উপদেষ্টা
  • ‘সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশকে ভোটের ট্রেনিং দেয়া হবে’ : প্রেস সচিব
  • রাজধানী থেকে বিমানঘাঁটি না সরানোর কারণ জানালো বিমানবাহিনী
  • পুলিশের আরো ৪ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • ঝুঁকি নিয়ে আহতদের সেবা দেয়া চিকিৎসকরা ‘জুলাইয়ের নায়ক’ : প্রধান উপদেষ্টা
  • চাঁদাবাজ যতই শক্তিশালী হোক, ধরে ফেলতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ও এআই’র অপব্যবহার : সিইসি
  • জীবন সবসময় সোজা পথে চলে না, কখনো সাফল্য কখনো ব্যর্থতা
  • কোন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে থাকলে গ্রহণ করা হবে, কোন রোহিঙ্গাকে নয়
  • নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা