ঢাকার আশপাশের ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: বায়ুদূষণ কমাতে আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর আশপাশের ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বায়ুদূষণ কমানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধে এরই মধ্যে আমরা ঢাকার আশপাশের অবৈধ ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এতে পুরো সমস্যার সমাধান হবে না। ঢাকা শহরে সিমেন্ট-বালি পরিবহন, নির্মাণকাজ ঢেকে রাখার নিয়ম আছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজটা করতে চাই। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।
কতগুলো অবৈধ ইটভাটা আছে বা কতগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের হিসেবে ২ হাজারের মতো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আমরা প্রথমে ঢাকার আশপাশে স্থায়ী চিমনিগুলো চিহ্নিত করছি। ঢাকার চারপাশে ১ হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে৷ ১০০ দিনের কর্মসূচিতে দিনে গড়ে তিন থেকে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেব। অর্থাৎ ১০০ কর্মদিবসে লক্ষ্য হচ্ছে ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া।
মন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা বায়ু দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করছি। উৎস কি সেটা না জানলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আরেকটা বিষয় হলো বায়ুর মান যখন খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন আমরা একটা এলার্ট ইস্যু করতে চাই। জনসাধারণকে বলতে চাই আজকে আমাদের বায়ুর যে মান আছে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ঝুঁকি। সুতরাং তাদের যদি জরুরি কাজ না থাকে তাহলে যেন ঘরের বাইরে না যায়। এছাড়া ডব্লিউএইচও বলছে মাস্ক পরতে হবে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে একটা ঘোষণা এটা আমাদের দায়িত্ব।
এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে দুর্নীতি হয়, এগুলোকে নির্মূল করতে কাজ করছেন জানিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা চাই না এ ধরনের ইটভাটা থাকুক। ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লক ইট নিয়েও ভাবতে হবে, উৎসাহিত করতে হবে। আমাদের বার্তা হচ্ছে, কোনো ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখতে চাচ্ছি না।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে তার একটা অন্যতম দিক হচ্ছে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন- তখন বলে গিয়েছিলেন একটা জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে করতে আগ্রহী। আজ আমরা সেই চুক্তিতে কোন বিষয়গুলো থাকবে, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কোন বিষয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)