ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকার তৎপর : মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী


ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হবে বলে উল্লেখ করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকার তৎপর। নিজেদের শিশুদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবার থেকেই নৈতিকশিক্ষা দিতে হবে। ধর্ষক পরিবারের বাইরে নয়। এরাও সমাজের অংশ। কিন্তু ধর্ষকের পরিচয় শুধুই ধর্ষক। সে যে ই হোক। এদের সমাজের সর্বস্তর থেকে বর্জন করেত হবে।’ ‘ধর্ষণের শাস্তি মৃতুদণ্ড দেয়ায় প্রমাণ হয় যে, আওয়ামী লীগ সরকারই পারে নারীর নিরাপত্তা দিতে।’
শনিবার (১০ অক্টোবর) ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জুম প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোশিয়েশন ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জাং রানা, ঢাবির সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন ও আবুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোভিড আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
অধ্যাপক নাজমা খাতুন মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের গড়আয়ু সুস্থদের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ বছর কম। কম বাজেট বরাদ্দের কারণে কম সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘কোভিড-১৯ উন্নত ও অনুন্নত সকল দেশের সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে শুরু করেছে। অচিরেই এই সংকট কেটে যাবে।’

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
