রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুমড়া বড়ি তৈরি করে সংসার চালান নারীরা

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুমড়া বড়ি তৈরি করে সংসার চালান নারীরা। কুমড়ার বড়ি তৈরি করে সংসার চলে নড়াইলের ব্রাহ্মনডাঙা গ্রামের নারীদের। কলাই ডাল বেটে তাতে চাল-কুমড়া মিশিয়ে তৈরি হয় এই বড়ি।

প্রতি বছরই কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত গ্রামটিতে ধুম পড়ে যায় বড়ি তৈরি করার কাজে। বছরের এই ৫ মাস বেশির ভাগ পরিবারগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস এই বড়ি বিক্রি। ডালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রয় মূল্য না বাড়লে বড়ি উৎপাদন করা দুরুহ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা।

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, কারিগর মিনতি কুন্ডু জানান, বাজার থেকে ডাল ক্রয় করে রাতে ভিজেয়ে কাক ডাকা ভোরে সে ডাল মেশিনে ভাঙিয়ে উজ্জল রোদে ডাল ও চাল-কুমড়ার মিশ্রণ রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় কুমড়া বড়ি। নরম অবস্থায় এগুলো পাতলা কাপড়ে ও মাচায় সারি সারি করে রোদে রাখা হয় শুকানোর জন্য।

ভালো করে শুকিয়ে তা বাজারে বিক্রয় করা হয়। কাছেই রুপগঞ্চ বাজারে আমরা এগুলো বিক্রি করি কখনো ৩০ টাকা কখনো ৫০ টাকা প্রতি কেজিতে লাভ হয়। এখন আগের মতো লাভ হয় না প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। এই বিক্রি আমাদের সংসার চলে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি বিক্রয় করতে পারি। এতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা থাকে। এই কাজে আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা সাহায্য করে।

মিনতি আরও জানান, ১০-১২ বছর আমি এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করি, এতে সংসার খুব একটা ভালোভাবে চলে না। এইকাজ শিখেছি তাই করি।

নারী উদ্যেক্তা নন্দিতা বোস বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কুমড়ো বড়ি বাজারের অন্য পন্যের তুলনায় দামের দিক থেকে অনেক কম। ভালো বাজার পেলে সারাদেশে তুমুল জনপ্রিয় এই খাবার বিক্রি করি গ্রামের এই নারীরাও স্বাবলম্বী হতে পারবে। নড়াইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা গ্রামের অনেক নারী এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অনেকে ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে এই কাজ করছেন।

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান বলেন, বাংলার ঐতিহ্য কুমড়ার বড়ি, সারাদেশে তুমুল জনপ্রিয় মূল উপকরণ চাল-কুমড়া, মাসকলাই যা নড়াইলে ব্যাপক চাষাবাদ হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রামের মহিলারা এই কাজে আত্মনিয়োগ করে তারা যে কুমড়ার বড়ি তৈরি করছেন এতে তাদের যেমন কার্মসংস্থান হচ্ছে সেই সঙ্গে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

উন্নিতবাজার ব্যবস্থা ও কারিগরি সহযোগিতা পেলে তারা আরও উৎসাহী হয়ে এই কাজে আত্মনিয়োগ করবে। এই কার্যক্রম যদি আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারি বাজার ব্যবস্থা উন্নত করতে পারি তাহলে অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসবে।

বর্তমানে প্রতি কেজি বড়ি তারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে থাকেন। যেখানে প্রতি কেজি ডালের বাজার মূল্য ১৫০ থেকে দুই শ’ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি বড়ি বিক্রয় করে ৩০ থেকে ৫০ টাকা লাভ হয়। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কেজি বিক্রয় করেন বলে জানান এই কাজে নিয়েজিত নারীরা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার -১

নড়াইল পুলিশের অভিযানে ডিবি ষাট পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার। সজীব বিশ্বাসবিস্তারিত পড়ুন

নড়াইল জেলা আ.লীগ সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস কারাগারে

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় জেলা আ.লীগ সভাপতি কারাগারেবিস্তারিত পড়ুন

নড়াইলে অতিরিক্ত মদ্যপানে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় পূজা উপলক্ষে মদপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু।বিস্তারিত পড়ুন

  • নড়াইলে দুই ভাইকে হত্যা, ২৯ জন কারাগারে
  • নড়াইলে ধান ক্ষেত থেকে শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
  • নড়াইলে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ চারজন গ্রেফতার
  • নড়াইলে নাশকতা মামলায় ইউপির চেয়ারম্যান গ্রেফতার
  • নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১২ জন চিকিৎসক!
  • নড়াইলে গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার
  • নড়াইল জেলা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ২৫ জন গ্রেফতার
  • নড়াইলের চাঁদপুর গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
  • নড়াইলের ইতিহাস ‘পাতালভেদী রাজার বাড়ি’
  • নড়াইলে নিখোঁজ বৃদ্ধের গলাকাটা ম*রদে*হ উদ্ধার
  • নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইউপি সদস্যসহ আটক-৬, অস্ত্র উদ্ধার
  • নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিন জনকে পিটিয়ে হত্যা