নির্ধারিত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে কোরবানির পশুর হাট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাহিরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না।
রোববার (১৩ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ঈদু-উল আযহা-২০২১ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় এ ভেরিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এবছর সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে। তিনি বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের যে স্থান নির্ধারণ করবেন শুধু সেখানেই হাট বসবে হবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মত জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আমাদের দেশের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোন অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সে জন্য স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক এবং রেল লাইনের উপরে কুরবানীর পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার উপরে পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগ এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেওয়া যাবে না।
কুরবানী দেওয়ার পর পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়রসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল জনপ্রতিনিধিরা স্ব স্ব উদ্যোগে দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করবেন ।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো এ বছরও এটি করা হবে। সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারনা চালাবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের মন্ত্রী জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনদুর্ভোগ কমাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেরসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)