নির্বাচন বিলম্ব করতে নানা উছিলা দেওয়া হচ্ছে: মোশাররফ


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা শান্তি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর পরিবেশ। কিন্তু পরাজিত ফ্যাসিবাদ সরকার বিদেশে গিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে আমরা বুঝি। কিন্তু ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয় সেজন্য উছিলা দেওয়া হচ্ছে। সংস্কার নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু সাত মাসেও তারা কোনো স্পষ্ট রুপরেখা ঘোষণা দিতে পারেনি।
শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিগত শেখ হাসিনার সরকার পনের বছরে দেশ ধ্বংস করে গেছে। সেটা মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সেজন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের উচিত হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করা হোক। রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। জনগণের নির্বাচিত সরকার তখন পতিত সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কথাবার্তায় মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মনে করছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটা তামাশা তৈরি হচ্ছে কিনা। ১৬ বছর ধরে যে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি, সেই ভোটারদেরকে বঞ্চিত করার আবার কোনো নীল নকশা হচ্ছে কিনা এই ধরনের আশঙ্কা মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, কাজ এখনো শেষ হয়নি? এখনো কেন গড়িমসি? কদিন আগে না নিশ্চিত করে বললেন যে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন। আবার আজকে গণমাধ্যমে দেখলাম এটা জুনেও হতে পারে। সেখানে বলেছেন যদি স্বল্প মেয়াদী সংস্কার চান তাহলে ডিসেম্বরে আর যদি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চান তাহলে জুনে। এই কথাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে বলে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে কেন?এটা আজকে জনগণের জিজ্ঞাসা।
বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, সংস্কারের আবার স্বল্প মেয়াদী কী, দীর্ঘমেয়াদী কি? সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। আজকে আপনি যেটি সংস্কার করছেন সেটি ৫০ বছর পর আবার সংস্কার হতে পারে। ২০ বছর পর আবার সেটি বাতিল হতে পারে, নতুন সংস্কার আসতে পারে। তাহলে এই কথাগুলো আসছে কেন যে স্বল্প মেয়াদী সংস্কার হলে ডিসেম্বরে, দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার হলে জুনে নির্বাচন হবে। এই কথাগুলোর মধ্য দিয়েও তো একটা ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
