নড়াইলে প্রতারণার শিকার হয়ে যুবকের বাড়িতে অবস্থান পটুয়াখালীর মেয়ের
নড়াইলে প্রতারণার শিকার হয়ে যুবকের বাড়িতে অবস্থান পটুয়াখালীর মেয়ে নীলা বেগম নড়াইলের নড়াগাতীতে প্রতারণার শিকার হয়ে যুবকের বাড়িতে অবস্থান করছে পটুয়াখালীর মেয়ে নীলা বেগম (২৫)। ওই যুবকের নাম কবির শেখ (২৬)। স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে গত ২১ ও ২২ আগষ্ট দু’দিনব্যাপি নড়াগাতি থানার মুলশ্রী গ্রামে কবিরের বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। তার অভিযোগ, অন্যের পরিচয়পত্রে নিজের ছবি লাগিয়ে প্রতারণা করে বিয়ে করেছে কবির শেখ। কবিরের বন্ধুর সহায়তায় এই ঠিকানায় আসে এসেছেন তিনি। তবে ঘটনার পর থেকেই কবির পলাতক রয়েছে। সে ওই গ্রামের মোহর শেখের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, বিগত ৬ বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাদে কবিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ সম্পর্কের পর চলতি বছরের ১৫ মার্চ তারা ঢাকায় কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং পরবর্তীতে কাজী অফিসের মাধমে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে। কিন্তু কবির শেখ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার উলামাকান্দী গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে মো. ইয়াসিন মিয়ার আইডিতে নিজের ছবি লাগিয়ে ওই পরিচয়ে বিয়ে করে এবং ২ মাস ঘর সংসার করে, ৩ মাস পূর্বে স্ত্রীর রক্ষিত গাড়ী কেনার ৩ লক্ষ টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে চম্পট দিয়ে নীলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখে।
অবশেষে কবিরের বন্ধুর মাধ্যমে তার আসল পরিচয় পেয়ে নীলা বেগম ২১ আগষ্ট তার ভাবীসহ পরিচিত মহিলাকে নিয়ে কবিরের বাড়ীতে আসার পথে কবির তাদের বড়ীতে না নিয়ে গোপালগঞ্জ পার্কে নিয়ে বুঝিয়ে চলে যেতে বলে। কিন্তু কবিরের কথা না শুনে স্ত্রীর দাবিতে তার বাড়ীতে আসলে পরিবারের লোকজন নীলাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিলে ওই গ্রামের একটি বাড়ীতে সে আশ্রয় নেয়। পরদিন স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে আবার কবিরের বাড়িতে অবস্থান করে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ভুক্তভোগী নীলা।
এদিকে অভিযুক্তের বাবা মোহর শেখ বলেন, কবিরের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। তিনি তাকে মৌখিকভাবে ত্যাজ্য করেছেন এবং ২ বছর তিনি তাকে দেখেন নাই। কবিরের মা ও পরিবারের অন্যান্যদের বক্তব্যে তার বাড়ী থাকার বিষয়ে ভিন্নতা পাওয়া যায়। অভিযুক্ত কবিরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি বিধায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহামুদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)