বুধবার, আগস্ট ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ তোফাজ্জল হোসেনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। পরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে যখন এই তোফাজ্জল হোসেনকে মারধর করা হচ্ছিল তখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য তিনি স্বজনদের নম্বর দিয়েছিলেন।

খবর পেয়ে তোফাজ্জলের মামাতো বোন আসমা আক্তার তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক ছাত্রের নম্বরে ফোন করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, ‘ও পাগল’। তখন ফোনে থাকা ছাত্রটি বলেন, “পাগলে এত নম্বর মনে রাখে ক্যামনে?”

তানিয়ার অভিযোগ, এরপর তাকে আরও বেশি করে মারধর করা হয়।

তানিয়া বলেন, ‘ও যখন আমার আব্বার নম্বর, ওর ভাবির নম্বর, চাচাত ভাইদের নম্বর দিছে, তখন ওরে আরও বেশি মারছে। ওরা আবার বলছে, “একটা পাগলের এত নম্বর মুখস্থ থাকে ক্যামনে?” ’

‘পাগলে ক্যামনে এত নম্বর মনে রাখে কইয়া আরও মারছে’- বারবার একই কথা বলছিলেন তানিয়া।

‘কিন্তু সব পাগল তো এক রকম না। সব পাগলের আচরণ তো একই রকম না’, বলছিলেন তোফাজ্জলের মামাতো বোন।

তানিয়া ফোনে ভাইকে বাঁচাতে কাকুতি মিনতি করলেও কারও মন গলেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আমি তাদের বলছি, আপনারা যারে ধরছেন ও কোনো অপরাধী না, ও পাগল, হয়ত খিদা লাগলে কারও খাবারের দিকে হাত বাড়াইতে পাড়ে অথবা টাকা চাইতে পারে, এর বেশি কিছু ও করে না। ও পাগলামি কইরা কাউরে মারধর করে না, কারও ক্ষতিও করে না। কিন্তু তারা শোনে নাই। এমনভাবে কোনো মানুষ একটা মানুষরে মারতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।’

এদিকে, দেশে গণপিটুনির বেশিরভাগ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আলোচনায় না আসলে পুলিশের তেমন তৎপরতা থাকে না। সেই মামলার তদন্ত বিচার ঝুলে থাকে বছরের পর বছর।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেণু নামে এক নারীকে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনা বেশ আলোচিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।

সংবিধানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হলেও দেশের প্রচলিত আইন ও তদন্ত ব্যবস্থায় গণপিটুনিতে শাস্তি নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। এ কারণে গণপিটুনিতে অংশ নেওয়ার অপরাধে বাংলাদেশে কারও দণ্ড হওয়ার নজির বাংলাদেশের আদালতে বিরল বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

একই রকম সংবাদ সমূহ

থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা, নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আসছে। আর থাকছে না নিবন্ধনবিস্তারিত পড়ুন

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমরা তা এখনো পুরোপুরি আহরণবিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রথম নারী সচিব রেহানা পারভীন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

  • ৩ শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যেতে পারে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • যারা পিআর দাবি করে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক: রিজভী
  • ডিবি হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • জাতীয় পার্টি জিন্দা লা/শ: শেখ হাসিনা
  • চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ: ইসি সচিব
  • যিনি সম্মানের যোগ্য, তাকে সেই সম্মান দিতে হবে : জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে মাহফুজ
  • এবার সামনে এলো হাসিনা ও ইনুর চাঞ্চল্যকর অডিও রেকর্ড
  • জুলাই সনদ: ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আইনসভা ২ কক্ষের, প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান নয়
  • ‘না ভোট’ রাখার প্রস্তাব দেয়নি বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
  • প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • প্রধান উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই : রিজওয়ানা
  • রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: রিজওয়ানা