ফ্রান্সের প্যারিসে বিজয় উৎসবে কলারোয়ার সুমন
ফ্রান্সের প্যারিসে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান-নৃত্য, আবৃত্তির মাধ্যমে ‘জাগরণের গান ও নৃত্যনাট্য : আঁধারের বাঁধ ভেঙে’ শীর্ষক বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর রবিবার ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার’ স্লোগানে বিকালে প্যারিসের মেরি দি ক্লিসির একটি হলে এ বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার সন্তান সুমন আহমেদ। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন তিনি।
ফ্রান্স প্রবাসী সুমনের গ্রামের বাড়ি কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালি। এক সময়ের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ বাংলাদেশে থাকতে একাধিক টিভি নাটকের পাশাপাশি মঞ্চ ও অন্যান্য প্লাটফর্মে অভিনয় করেছেন। নৃত্য জগতেও রয়েছে তার অন্যন্য অবদান।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক, অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে একাত্তরের সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন বিজয় উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব সিনিয়র সাংবাদিক দেবেশ বড়ুয়া ও এমদাদুল হক স্বপন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তি আবুল কাশেম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিভাগ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাজাহান শারু, পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান রহমান, ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ, ঢাকা বিভাগ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজান সরকার।
আরও ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলী আজম খান, বাংলা অটো স্কুলের চেয়ারম্যান হোসেন সালাম রহমান বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সাইফুল ইসলাম খান, এস ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ,বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মানবাধিকার কর্মী মাসুদ হায়দার, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ লুলু আহমেদ, সররলিপি শিল্প গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আল তায়েফ ,হাসান আহমেদ, কাইয়ুম রহমান, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি ওয়াদুদ খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক বৃন্দ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারাসহ আরও অনেকে।
সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাগর বড়ুয়া, মৌসুমী চক্রবর্তী, রণজিত বড়ুয়া, সফিকুল ইসলাম রায়হান, শংকর ডেভিড, প্রিয়াংকা বড়ুয়া, রিমা মুৎসুদ্দী ও শুভা তালুকদার।
নৃত্য পরিবেশনা করেন দেবশ্রী, সুবর্ণা, ডোনা, সুমন আহমেদ, উল্লাহ চিং।
যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন- অনুভব চ্যাটার্জী, মিশেল কলিন্স, অমিত বড়ুয়া তোমার আমার ঠিকানা, ও আলোর যাত্রী, ধন্যধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা, নোঙর তোল তোল দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি ছিল নৃত্য পরিবেশনা। এ ছাড়া বড়দের পাশাপাশি শিশুদের চমৎকার আবৃত্তিতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায়। আবৃত্তিতে অংশ নেয় শিশু সমৃদ্ধ বড়ুয়া বর্ণ, আয়ুস চ্যাটার্জী ও শুভমিতা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় নিয়ে পরিবেশিত হয় নৃত্যনাট্য : আঁধারের বাঁধ ভেঙে। সভাপতির বক্তব্যে এনায়েত উল্লাহ ইনু বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের অন্যতম অধ্যায় একাত্তর।
প্রবাসে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসকে তুলে ধরার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই মূলত আমাদের বিজয় উৎসব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)