বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, স্থলবন্দরে কী প্রভাব পড়ছে


ভারতীয় স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রেডিমেড গার্মেন্টস, ফলসহ ফলের রসযুক্ত কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস, প্রসেসড ফুড, তুলা ও তুলা থেকে তৈরি সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি দিয়ে তৈরি উপকরণ এবং কাঠের আসবাব। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
যদিও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে এসব পণ্য শুধু কলকাতা ও মুম্বাইয়ের সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। এসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের ফলে পেট্রাপোল ও গোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, এই দুই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০টির বেশি ট্রাক পণ্য বোঝাই করে ভারতে আসতো। এর মধ্যে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১৫টির বেশি ট্রাক ভারতে আসত যা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। এতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। যদিও ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে এই মুহূর্তে স্বাভাবিক বাণিজ্য রয়েছে, তবে এর প্রভাব সেখানেও পরতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঘোজাডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বন্ধ হলে স্থলবন্দরের সঙ্গে যুক্ত পোর্টার, লড়ি চালক, বিভিন্ন লজিস্টিক কোম্পানি ছাড়াও শ্রমিকদের ওপর প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পেট্রাপোল ইমপোর্ট এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ কুমার দে বলেন, বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর ব্যবহার করে সারাদিনে যে গাড়ি ঢোকে ভারতে তার প্রায় ২৫ শতাংশ গাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকসহ বেশ কিছু প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী, প্লাস্টিক সামগ্রী আসে বাংলাদেশ থেকে। এসব পণ্য আমদানি বন্ধ হলে দুদেশে আর্থিক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাপড় নিয়ে ঢাকা থেকে আসছিলেন লরি চালক মোহাম্মদ আব্দুল হাসান। তিনি বলেন, আমাদের মতো মানুষের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। কারন আমাদের মতো মানুষদের জীবিকাই তো এর ওপরে দাঁড়িয়ে আছে।
ঘোজাডাঙ্গার ব্যবসায়ী সঞ্জীব মন্ডল বলেন, সবার আগে আমার দেশ। সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। তবে এই সিদ্ধান্তে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ওপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহলও।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
