সোমবার, মে ১২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বাদীকে বিয়ে করে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন সাবেক এমপি

বাদীকে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে সংসার শুরু করায় পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম সামছুন্নাহার এ অব্যাহতির আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১৩ মার্চ একই আদালত বাদীকে বিয়ের শর্তে আসামিকে জামিন দেন। শর্ত অনুযায়ী বাদীকে বিয়ে করেন আসামি। আজ মামলার চার্জগঠনের শুনানির দিনের আইনজীবী কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু জানান, আদালতের শর্ত মোতাবেক আসামি বাদীকে বিয়ে করেছেন। এখন তারা একত্রে সংসার করছেন। তাই এখন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে বাদীর কোনো আপত্তি নেই। এরপর আদালত বাদীও বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি একমত প্রকাশ করেন। পরে আদালত আসামিকে অব্যাহতি দেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাবনা-২ আসনের এমপি ছিলেন।

এর আগে, গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আজিজুল হক আরজুর বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইয়ের পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ১৬ জানুয়ারি একই আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আরজুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরজু। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডিসেম্বর ২০০০ সালে বাদীর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বাদী তখন একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এ সময় তিনি রাজধানীর বড় মগবাজার একটি ভাড়া বাসায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। তখন বাদীর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পুনরায় বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচা মোবারক হোসেন বাবুর মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তী সময়ে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তার প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একপর্যায়ে সফল হন।

আসামি বাদীকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। বাদী সামাজিক নির্ভরতার জন্য এবং একাকীত্বের অবসানসহ নতুন সংসার শুরু করার মাধ্যমে আসামি মনে-প্রাণে ভালোবেসে ফেলেন এবং আসামির বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দেন। পরে আসামির ইচ্ছানুযায়ী, গত ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামি তার পরিচিত কাজী নিয়ে বাদীর বড় মগবাজার ভাড়া বাসায় উপস্থিত হন। সেখানে বাদী তার চাচা মোবারক হোসেন বাবুর উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। এরপর আসামি বাদীর সঙ্গে মগবাজারের ভাড়া বাসায় এবং পরবর্তী সময়ে মোহাম্মদপুরের মোহাম্মাদীয় হাউজিং সোসাইটির ভাড়া বাসায় দাম্পত্য জীবনযাপন শুরু করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে।

সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলচাতুরির মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাদীর দৃঢ়তায় বাচ্চা নষ্ট করতে পারেননি তিনি। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করেন বাদী। এরপর তার বাসায় আসা কমিয়ে দেন আসামি।

ইতোমধ্যে বাদীর নামে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার কথা বলে বাদীর বাবার কাছ থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকা এবং বাদীর জমা করা ৮ লাখ টাকা, ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে বিক্রি করে আসামিকে টাকা দেন। তবুও বাদীকে কোনো ফ্ল্যাট কিনে দেননি এবং কোনো প্রকার টাকাও ফেরত দেননি আসামি।

একপর্যায়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি। পরে খোঁজ নিয়ে বাদী জানতে পারেন, আসামির প্রথমপক্ষের স্ত্রী জীবিত। সে ঘরে তার কন্যাসন্তান আছে এবং আসামি তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। বাদী আরও জানতে পারেন যে, আসামি ইতোপূর্বে বাদীর কাছে ফারুক হোসেন হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু।

মিথ্যা তথ্য ও পরিচয় দিয়ে বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বাদীকে বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে ও তার গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃ পরিচয়কেই সরাসরি অস্বীকার করেন।

মামলার তদন্তে বাদী কন্যা সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে কন্যা সন্তানটি বাদীর গর্ভজাত সন্তান এবং আসামি আজিজুল হক আরজু তার জৈবিক পিতা মর্মে মতামত এসেছে। সূত্র : দৈনিক আমাদের সময়

একই রকম সংবাদ সমূহ

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের মসৃণ এবংবিস্তারিত পড়ুন

নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ICT কোচিং সেন্টার শনিবার রাতবিস্তারিত পড়ুন

ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত মহাসড়ক হবে ছয় লেনের : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এমবিস্তারিত পড়ুন

  • আইসিটি অ্যাক্টে আ’লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে : প্রেস সচিব
  • স্যুট পরে এলে ছাইড়া দিও না, খেয়াল রাইখো : বিমানবন্দর পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আটকের পরেও যে ফোনে আবদুল হামিদকে ছেড়ে দেয়া হয়..
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
  • ‘আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, এ যেন আরেক ‘জুলাই’
  • আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে মুখ খুললো সরকার
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: সরকারের বিবৃতি
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন মঈন খান
  • নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
  • দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নজরুলকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
  • সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরো বাড়লো
  • আবদুল হামিদের দেশত্যাগ : তদন্ত কমিটি গঠন, এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার