ভোটারের বয়স ১৭ করার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার ‘ব্যক্তিগত মতামত’ : ইসি
বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স এক বছর কমিয়ে ১৭ নির্ধারণ করা উচিত বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে প্রস্তাব করেছেন, সেটিকে তার ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ভোটারের সর্বনিম্ন বয়স ১৭ বছর করার বিষয়ে কমিশন কী ভাবছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৭ বছর বয়সে ভোটার হওয়া নিয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা উনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। আমরা সেটা শুনেছি। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভবিষ্যতে যদি রাজনৈতিক কোনো মতৈক্য হয়, কোনো সিদ্ধান্ত আসে এবং যদি সংবিধানে পরিবর্তন আসে, আমরাও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
এদিকে, ১৭ বছরে ভোটার করতে প্রধান উপদেষ্টা যে মতামত দিয়েছেন তাতে জামায়াত সমর্থন দিলেও আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ইসলাম আলমগীর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এখন তাহলে আবার নতুন করে ভোটার তালিকা করতে হবে। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, প্রথমেই বলে দিচ্ছেন, ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। আপনি যখন বলছেন, তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটা ইলেকশন কমিশনের কাজ, তাদের ওপর ছেড়ে দিন।
তবে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, যারা জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিতে পারে, আমরা দেশবাসী দেশের স্বার্থে তাদের হাতে একটি ভোটের অধিকার তুলে দিতে পারি না?
গত সোমবার চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ১৭ বছর করা যাবে না এটা আমরা বলছি না। তবে এটি করতে হলে সংবিধান আবার সংশোধন করতে হবে। সংবিধানে তো ১৮ বছর বলা আছে। আমাদের বিধিবিধান যা আছে ভোট সংক্রান্ত সব ১৮ বছরেই আছে। যদি সংবিধান পরিবর্তন করে ১৭ বছর করা হয়, আমরাও সেভাবেই কাজ করবো।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীতে এ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স এক বছর কমিয়ে ১৭ নির্ধারণ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেবো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)