মণিরামপুরের রাস্তায় অবাধে চলছে রুটপারমিট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ঘটছে দুর্ঘটনা


যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে রুটপারমিট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে নিহত হচ্ছেন আবার অনেকে আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে সারা জীবন কাদছেন। মণিরামপুরের সড়কগুলো যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে- মণিরামপুরের সড়কগুলোতে কৃষি কাজে সহায়ক পাওয়াটিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি ট্রলি এবং ভটভটি অবাধ ও বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। এই যন্ত্রদানব যানবহনগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচল করার কারণেই ঘটছে যতো দুর্ঘটনা। কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই গ্রামীণ ও মেইন সড়কগুলোতে অবাধে চলছে এইসব যানবাহন।
রুটপারমিটবিহীন ও ফিটনেস বিহীন ট্রলি ও ভটভটি গাড়ীগুলো উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিচালী, কাঠ, ইট, বালি, বাঁশ, ধান, কাঁচামাল, মাটিসহ সকল ধরণের মালামাল বহন করে থাকে। এমনকি যাত্রীও বহন করে থাকে। এই গাড়ীগুলোর চালকদের কোনো দক্ষতা নেই, নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। এজন্য এই গাড়ীর চালকরা নিয়ন্ত্রন হারাই। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কগুলোতে অকালে ঝরছে তাজা প্রাণ।
অনেকেই জানিয়েছেন- এই অবৈধ যানবাহনগুলো বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে যেমন ঘটছে দুর্ঘটনা, ঠিক তেমনি পরিবেশ ও শব্দ দূষনের সাথে সাথে দ্রুতই নষ্ট হয়ে পরছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট গুলো।
সব ধরনের অবৈধ যানবহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার এবং ট্রাক্টর ও ট্রলি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের সামনেই অবাধ বিচরণ করছে লাইসেন্স বিহীন চালক দ্বারা চালিত ভয়ংকর এই যানবাহনগুলো। এসব গাড়ির নেই কোনো ফিটনেস ও রেজিষ্ট্রেশন , নেই কোন হর্ণ ও গতি নিয়ন্ত্রক। এসব গাড়ির বিকট শব্দে পথচারীসহ এলাকাবাসীও অতিষ্ঠ। এসব গাড়ি চালাতে লাগচেনা কোনো প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স। ইচ্ছানুযায়ী গাড়ী তৈরি করে, চালক সেজে নেমে পড়ছে রাস্তায়।
এ বিষয়ে পথচারীরা বলেন- ইট, বালি, মাটি ভর্তি এসব ট্রাক্টর গাড়ির পেছনে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব বিপদজনক। বেপরোয়া গতি ও বিকট শব্দে পরিবেশ ও সড়কগুলোর মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে এবং প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। গ্রামীণ রাস্তাঘাট গুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এসব যানবাহনের কারণেই। আর সবসময় প্রশাসনের সামনে দিয়েই চলাচল করছে এ ধরনের যানবাহন। এসব গাড়ির অবাধ চলাচলের কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পথচারীদের জীবন। অবৈধ এই যানবাহন গুলো বন্ধে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করেন মণিরামপুরের পথচারী ও সচেতন মহল।
মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে- ট্রাক্টর ও পাওয়ারটিলার কৃষিকাজে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু ট্রলি লাগিয়ে পণ্য বহনের জন্য রাস্তায় নামানো হচ্ছে। রাস্তা রক্ষার জন্য এসব রুটপারমিট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ীগুলো রাস্তায় চলাচল বন্ধের জন্য আমারা চেষ্টা করছি। তাছাড়া এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
