মরিচ চাষীদের চোখে মুখে স্বপ্নের হাসি
কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মরিচ চাষে বাম্পার ফলনের আশায় খুশি কৃষক, তাদের চোখে মুখে স্বপ্নের হাসি। উপজেলায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশায় মরিচ ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে মরিচ চাষিরা। বিগত বছরের তুলনায় এবছর এ উপজেলায় মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
মরিচ ক্ষেতে মরিচের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের তেঘরী, চন্ডিপুর মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা মরিচ ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি গাছে খুঁটি বাধাসহ নানা কাছে ব্যস্ত।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মরিচ চাষী মুকুল হোসেন এবার তার নিজস্ব ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে মরিচ উৎপাদনে সম্ভাব্য খরচ প্রায় ৬০/৭০ হাজার টাকা।
একই গ্রামের আবু বক্কর তার আড়াই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, মরিচ চাষ একটি ব্যয়বহুল এবং পরিশ্রমী আবাদ। প্রায় সময় মরিচ ক্ষেতে মরিচ গাছের পরিচর্যা করতে হয়। কীট-পতঙ্গের আক্রমণ থেকে মরিচ গাছকে রক্ষার জন্য ৮ দিন পর পর বালাইনাশক স্প্রে এবং পুষ্ঠ ও ভালো মরিচ পাওয়ার জন্য ভিটামিন পাউডার প্রয়োগ করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, গত বছর দেশীয় ও হাইব্রীড মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এবছর দ্বিগুন হারে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক। এবছর বিজলি, বিজলি প্লাস, ইস্পাহানী ও ১৭০১ জাতের মরিচ বেশি চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪লাখ টাকার মরিচ বিক্রি হয়।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু’র সাথে কথা বললে তিনি সোনালীনিউজকে বলেন, এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রায় ৩শত ৭৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৫০মেট্রিক টন।
তিনি আরো বলেন, মরিচ গাছের গোড়ায় যেন কোনভাবেই পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মরিচ চাষীদের সঠিক সময়ে মরিচ ক্ষেতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করছি।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মরিচ চাষীদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করছে এবং সেই লক্ষে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি এ বছর মরিচ চাষীরা বাজারে মরিচ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)