মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে উৎখাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিলো ভারত
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে দেশটির বিরোধীদের নিয়ে ‘নীলনকশা’ তৈরি করেছিল ভারত। সম্প্রতি বিষয়টির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
মুইজ্জুকে উৎখাতে প্রতিবেদনটি নাকচ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নয়াদিল্লির দাবি, নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে ভারত সম্পর্কে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করতে চায় ওয়াশিংটন পোস্ট।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শুক্রবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ নিয়ে বলেন, ‘ওই সংবাদপত্র এবং তার সাংবাদিকেরা ভারত সম্পর্কে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। ওদের লেখালিখির ধরন একটু নজর করলেই তা বুঝতে পারবেন। এ বার আপনিই ঠিক করুন ওদের কতটা বিশ্বাস করা যায়। আমাদের কাছে ওদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’
বর্তমানে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ খলিল নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার বৈঠকে সমুদ্র নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দুই এজেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং ‘র’-এর নির্দেশে কিছু এজেন্ট মালদ্বীপের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ শুরু করে। তাদের আলোচনার বিষয় ছিল সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
‘ডেমোক্র্যাটিক রিনিউয়াল ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি নথি ওয়াশিংটন পোস্ট হাতে পেয়েছে, যেখানে উল্লেখ রয়েছে বিরোধী এবং মুইজ্জুর নিজের দলের কিছু নেতাসহ মোট ৪০ জন সংসদ সদস্যকে ‘ঘুষ’ দিয়ে তাকে অভিশংসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন আরো দেখা যায়। ঠিক পরদিন ৩১ ডিসেম্বরে আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গুপ্তহত্যায় ভারতের ‘র’ জড়িত।
এতে বলা হয়, এসব হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানের ভেতরে ঘটানো হলেও তাতে সরাসরি ভারতীয় নাগরিকরা অংশ নেয়নি। তবে পাকিস্তানের অপরাধী অথবা আফগানিস্তানের অপরাধীদের শুটার হিসেবে ভাড়া করা হয়েছিল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)