যশোর বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৯৩.০৯ ভাগ
যশোর শিক্ষাবোর্ডে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাসের হার ৯৩.০৯ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৪ হাজার ২২৪ জন, মানবিক বিভাগে ১ হাজার ৩৬৯ জন ও বাণিজ্য বিভাগে ৮৬৮ জন রয়েছে। এবারই প্রথম খুলনা বিভাগের ২৫৫টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে সবাই পাস করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।
প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এবারের পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.০৯ শতাংশ। তিন বিষয়ের পরীক্ষা এবং জেএসসির অন্যান্য বিষয়ের নম্বরের ওপর ভিত্তি করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর প্রথমবারের মত সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে দেড়মাসের মধ্যে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যা অন্যান্য বছরে পরীক্ষা শেষের তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যশোর শিক্ষাবোর্ড এ কাজটি সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, এদিন দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে তাদের ফলাফল পৌছে দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সব পরীক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পাস করিয়ে দেয়া হয়। এ বছরও করোনা পরিস্থিতির খুব বেশি উত্তরণ হয়নি। এ কারণে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। বাকি বিষয়গুলো জেএসসির ওপর নির্ভর করে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৫০ নম্বরের পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হয়েছে একশথ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় মোট এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছেলে ৯১ হাজার ৫৯৯ জন ও মেয়ে ৮৭ হাজার ১৯৬ জন। মোট পাসে হার ৯৩.০৯ শতাংশ। পরীক্ষায় জিপিএ ৪ থেকে ৫ পেয়েছে ৩৯ হাজার ১০৯ জন। জিপিএ ৩.৫ থেকে ৪ পেয়েছে ২৯ হাজার ৫২৭ জন, জিপিএ ৩ থেকে ৩.৫ পেয়েছে ৩৪ হাজার ৫৯৪ জন, জিপিএ ২ থেকে ৩ পেয়েছে ৪৪ হাজার ৭৯ জন এবং জিপিএ ১ থেকে ২ পেয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ জন। অবশ্য এবারের সার্বিক ফলাফলে ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফলাফলে খুলনা বিভাগে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৯৪.৭৬। এরপর দ্বিতীয় স্থানে খুলনায় পাসের হার ৯৪.৪৯। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাগেরহাট। এছাড়া চতুর্থ যশোর, পঞ্চম চুয়াডাঙ্গা, ষষ্ঠ নড়াইল, সপ্তম কুষ্টিয়া, অষ্টম মেহেরপুর, নবম ঝিনাইদহ এবং দশম স্থানে রয়েছে মাগুরা। এসএসসিতে এ বছর পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, বিগত বছরে ইংরেজি, গণিত ও আইসিটিতে পরীক্ষার্থীরা বেশি অকৃতকার্য হয়েছে। এবার এই তিনটি বিষয়ে কোনো পরীক্ষা হয়নি। এ কারণে পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে এ ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটকের মাধ্যমে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে দেশে একযোগে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়।
প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে ফলাফল প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী, বিদ্যালয় উপ পরিদর্শক (মাধ্যমিক) ফজলুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পিএ নজরুল ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)