রবিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে পড়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কয়েকজন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন এই সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলতে হবে। তবে উনাদের টেনে নামানোর হুমকির মধ্যে প্রায় একযুগ ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার মাসখানেক পর থেকেই তারা আমাদের টেনে নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকারকে টেনে নামাতে গিয়েই রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে বিএনপি।

তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যখন বলেন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা, তখন হাসি পায়। যারা ইতিহাসকে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে বিকৃত করেছেন তাদের মুখে এসব শোভা পায় না। আজকে যখন দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা ইতিহাসের খল নায়ককে নায়ক বানিয়েছিলেন, স্কুলের দপ্তরিকে তারা হেড মাষ্টার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। বিএনপিকে বলবো, এ ধরণের হাস্যকর বক্তব্য ক্রমাগতভাবে না দিয়ে বরং নিজেদের দলকে গুছিয়ে নিজেদের ঘরটাকে সংগঠিত করুন।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সকল কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, রতন কুমার রায়, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবু মো. হাশেম প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন এই সরকার কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না, তাদের বলবো পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্টোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামেও মেট্টোরেল প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নয়, তার অনেক আগেই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে। সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মতো বদলে যাওয়ার অগ্রগতির গল্প যদি বিশ্ববাসীকে জানান দিতে হয় শেখ হাসিনাকে একটু সময় দিতে হবে। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভারত পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ঝড় উঠছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। কিন্তু একটি পক্ষ প্রশংসা করতে পারেন না। বিএনপি আর তার দোসরেরা দেখেও দেখে না, শোনেও শোনে না, চোখ থাকিতে অন্ধ, কান থাকিতে বধির।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু বাঙালির নেতা নয়, তিনি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে একজন বিশ্বনেতা ও নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর। তিনি শুধু বাংলাদেশ সূচনা করেছেন তা নয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যখন আমরা অর্জন করি, হানাদারেরা তখন সমগ্র দেশ পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল, সমস্ত ব্রিজ কালভার্ট বিধ্বস্ত করেছিল, সেই দেশকে বঙ্গবন্ধু মুজিব পুনর্গঠিত করেছিলেন। ৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

অনেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অনেক কারণ উপস্থাপন করেন যা পুরোটাই ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পুরো ক্যানভাসটা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। বাসন্তীকে জাল পরিয়ে কাগজের পাতায় ছবি ছাপিয়ে নানা ধরণের অপবাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই বাসন্তীকে যারা ছবি তুলে কাগজের পাতায় ছাপিয়েছিল তারা বাসন্তীকে কাপড় কিনে দেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর সেই বাসন্তিকে দেখতে গিয়ে কাপড় কিনে দিয়েছেন এবং ঘর বানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে রেকর্ড ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, তাকে হত্যা করার ৪০ বছর পর পর্যন্ত কেউ সে রেকর্ড অতিক্রম করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমরা সেই রেকর্ড অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বহু আগেই বাংলাদেশের সমৃদ্ধির গল্প শুনতো পৃথিবীর মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে তারাই হত্যা করেছিল যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজার বাসায় পাক উপ-প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে তার খোঁজখবর নিলেনবিস্তারিত পড়ুন

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে গেছে-পাকিস্তানের এমন দাবি নাকচ করেছে বাংলাদেশবিস্তারিত পড়ুন

  • বাসায় গিয়ে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ১৫ বছর যাদের জন্য লড়াই করলাম, তারাই এখন ধাক্কা দেয় : রুমিন
  • বেনাপোল বন্দরে প্রথম চালানে ৩১৫ টন চাল আমদানি
  • কেন্দ্র-বাক্স দখল, অনিয়ম হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল : সিইসি
  • নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেয়া দরকার সেভাবে নিচ্ছি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘প্রধান উপদেষ্টার পরিচিতির কারণে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেয়েছে’ : প্রেস সচিব
  • সিন্ডিকেট রুখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • বিচার চলাকালে আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : সিইসি
  • ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা মে-জুনে, হবে পূর্ণ সিলেবাস-নম্বরে
  • সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
  • ১৩ বছরে প্রথমবার ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘ঐতিহাসিক’ বলছে ইসলামাবাদ
  • এক মাস মৃ*ত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানলো মাইলস্টোন শিক্ষার্থী তাসনিয়া