শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় কন‍্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় আরিফা

কখনো সুদিন আসিনি আরিফা’র জীবনে। কন্যা সন্তানে পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চার বছরের কন্যা ও স্বামীর ছবি হতে নিয়ে দারে দারে ঘুরছেন সাতক্ষীরার আরিফা খাতুন (২৩) নামের এক নারী। আরিফা খাতুনের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা লক্ষীদাঁড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ ফজলু দফাদার।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে নিরুপায় হয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের দারস্থ হন আরিফা খাতুন। এসময় আরিফা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে সদরের গাংনিয়া সুড়িঘাটা গ্রামের মোঃ জিয়ারুল ইসলাম এর ছেলে সাইফুদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কিছুদিন যেতেই তিনি বুঝতে পারেন স্বামী সাইফুদ্দিন শারিরীক ভাবে অক্ষম। স্বামী শারীরিক অক্ষম হওয়ায় তিনি বাবার বাড়ি ভোমরা লক্ষীদাঁড়ীতে ফিরে যায়। কয়েক দিন পর শশুর মোঃ জিয়ারুল ইসলাম আরিফার বাবার বাড়িতে গিয়ে তার ছোট ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সাথে পুনরায় বিয়ে দিবে বলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন আরিফাকে।

সেই থেকে আরিফার সাথে দেবর শরিফুলের পরিবারের সবার সম্মতিতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ-সম্পর্কের জেরে এক বছর পর শরিফুলের ঔরসে আরিফার কোলজুড়ে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। এখন সেই কন্যা সন্তানের বয়স চার বছর।

বড় ভাই সাইফুদ্দিন এর স্ত্রী হলেও শশুর শাশুড়ির চাপে দেবর শরিফুলের সাথে স্বামী স্ত্রী’র মত সংসার করতে থাকেন আরিফা খাতুন। এতো দিন সব কিছুই চলছিল ঠিকঠাক হঠাৎ দেবর শরিফুল অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে দেখা দেয় বিপত্তি। এসময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে দেবর শরিফুলকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়ে আরিফাকে কন্যা সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় শশুর জিয়ারুল ইসলাম। এমনি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আরিফা খাতুন।

পরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দেই আরিফা। এসময় এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য লোকজন আমার শশুরকে চাপ দিলে শশুর আমাকে নিয়ে সাতক্ষীরা জর্জ আদালতে নিয়ে প্রথম স্বামী সাইফুদ্দিন এর সাথে ছাড়াছাড়ি করান। সেইদিনই আদালত চত্বরে নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়ে ৭০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে তার ছোট ছেলে শরিফুলের সাথে বিয়ে দেন। এই বিয়ের পর মনে করেছিলাম হয়তো আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারবো।

কিন্তু বিয়ের পর আমাকে বাড়িতে একদিন রেখে পরদিন চার বছরের মেয়েসহ আমাকে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয় শশুর জিয়ারুল ইসলাম। সেই থেকে আমি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি। এনিয়ে সাতক্ষীরা নারী শিশু আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

অভিযোগ করে আরিফা খাতুন আরো বলেন, বাবার অভাবের সংসারে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে আমার বিয়ে হয়। সে সময় আমার বয়স ছিল ১৪-১৫ বছর, কিছুই বুঝতামনা। এখন গরীব বাবার বাড়িতে অসহায়াতার মাঝে দিন কাটাচ্ছি। এখন স্ত্রী’র মর্যাদা ও কন্যা সন্তানের পিতৃত্বে দাবিতে দারে দারে ঘুরছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

জি.এম আবুল হোসাইন : সাতক্ষীরা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সড়ক দূর্ঘটনারোধে প্রচারণা

“মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি ও কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি” এইবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ও দুর্গন্ধযুক্ত মাংস বিক্রয়ের অপরাধে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির হাতেবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরের জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল
  • সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে কমিশন গঠন
  • সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ
  • বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় সাতক্ষীরায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
  • সাতক্ষীরায় এসিড সারভাইভরদের সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা
  • সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ প্রশমনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ
  • ভর্তি হতে না পারা সেই শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন ছাত্রদল নেতা শাহিন
  • সাতক্ষীরার তালায় আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সভা
  • সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ
  • সাতক্ষীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় গ্রাম আদালতের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত