সাতক্ষীরা আলোচিত শপিং ভ্যালী কোম্পানির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
সাতক্ষীরার শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির মালিক ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। চলতি মাসের ৩ এপ্রিল প্রমাণপত্র সহ লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ নিকটে।
অভিযোগকারীদের ভাষ্য মতে, অভিযুক্ত সবুজ হোসেন একজন সৌদি প্রবাসী। তার বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসা ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার অবৈধ পন্থায় উপার্জনকৃত কালো টাকাকে বৈধ করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় নামে মাত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান করছে। তার ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্টান গড়ে তুলেছে। শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির নামে রয়েছে চা ব্যবসা, ঘি ব্যবসা, ও শপিং ভ্যালি নামে সেমাই কারখানা। মূলত এই সকল ব্যবসা লোক দেখানো মাত্র।
সাতক্ষীরা তালা সদরের আটারই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মোড়লের ছেলে ইমরান হোসেন রিপন নামে এক ব্যক্তি ৬৭ লাখ টাকা নিয়ে প্রথমে ঘের ব্যবসা করে। ঘের ব্যবসায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার বেশি লোকসান হয়। এত টাকা লোকশান হওয়ার পরেও কোন মাথা ব্যাথা নেই প্রবাসী ওই যুবকের নতুন ব্যবসার ফন্দি আঁকেন তিনি।
২০২৩ সালে শুরু দিকে শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই নামে একটি সেমাই কারখানা করেছে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে। বিনিয়োগের সমস্ত অর্থ আসে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব থেকে। সৌদি প্রবাসী সবুজের সাতক্ষীরার তালা এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়ার সুত্র ধরে প্রবাসী সবুজ ফোনের মাধ্যমে সমস্ত টাকা এখানে পাঠান। তার পাঠানো টাকা বাংলাদেশ সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করে থাকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কয়েক কোটি টাকা এখানে বিনিয়োগ করলেও প্রবাসী এই যুবক কখন তার চেহরা দেখায় না। এমন কি এখানে যারা ব্যবসা পরিচালনা করেন তারা কেউ কখনো সবুজের চেহরা দেখিনি। এখানে সমস্ত ব্যবসা পরিচালনা করেন জহর আলী সরদার নামে এক ব্যক্তি।
প্রবাসী লোকের সাথে পরিচয় হওয়ার পরে রাতারাতি পরিবর্তন ঘটেছে জহর আলী সরদারের। প্রবাসী শ্রমিকের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরে প্রবাসী সবুজকে পর্দার আড়ালে নিয়ে সবুজের আপন বোন জেসমিন আক্তার লিপিকে প্রকাশ্যে এনে মালিক বানিয়েছে। জেসমিন আক্তার লিপি পেশায় গৃহিণী। এ
গৃহিণী হয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা কোথায় পেলো এই প্রশ্ন ওই এলাকার জনসাধরণের। সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ সহ দুদকের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে, দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানান, অভিযোগটি যাচায়বাছায় করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)