সিইসিকে জাতীয় পার্টির চিঠি, দলীয় মনোনয়ন দেবেন জিএম কাদের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি ও নমুনা সইয়ের বিষয়ে সিইসিকে জানিয়েছে তিনি।
শনিবার জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সিইসির বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ভোটকে সামনে রেখে এ সংক্রান্ত ফর্মালিটিজ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এজন্য তার নাম, পদবি ও নমুনা সই নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পার্টির (নিবন্ধন নং-১২) পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে আরপিওর আর্টিকেল ১২ (৩ এ) (বি) এবং ১৬-এর (২)(৩) অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।’
এদিকে একইদিন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে সিইসিকে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আগ্রহী প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল ছাড়াও চাইলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের প্রতীক ব্যবহার করে নির্বাচন করতে পারবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে লেখা চিঠিতে রওশন এরশাদ জানান, ‘জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারও চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এটা হবে শুধুমাত্র নির্বাচনি জোট। নির্বাচন শেষে জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।’
এর আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৪৪টি নিবন্ধিত দলকেই প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১১ নভেম্বর ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি নিবন্ধিত ৪৪টি দলকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকবে যে, ওই প্রার্থীকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যয়নপত্রটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীকে জমা দিতে হবে।
প্রার্থী মনোনয়নে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি, সত্যায়িত নমুনা স্বাক্ষর তফশিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। আর এর অনুলিপি দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয় দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়নকারী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন বা তার পূর্বে রিটার্নিং অফিসারকে কোনো প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং ওই দলের অন্যান্য প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত হবে।
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)