বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৫০ বছরের নদী ভাঙন এলাকা এখন পর্যটন কেন্দ্র: উদ্বোধন ২৬ মার্চ

দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের পদ্মার ভাঙন কবলিত শরীয়তপুরের নড়িয়া এখন পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। ২০১৮ সালেও সাড়ে ৬ হাজার ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পদ্মার ভয়াল গ্রাসে রক্ষা পায়নি পাকা বাড়ি, দোকানপাট, ক্লিনিক।

অনেকেরই মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজনের কবর কোনো কিছুই নেই। সর্বনাশা পদ্মার ভয়াল গ্রাস হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত দুই বছর একটি বাড়িও ভাঙেনি। ৫০ বছরের ভাঙনকবলিত এলাকা এখন পরিণত হয়েছে নিরাপদ বসবাসের স্থান। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন অট্টালিকা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নড়িয়ার পদ্মাপাড় পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে।

আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে নড়িয়ার বেড়িবাঁধের পাশে সুরেশ্বর থেকে মোক্তারেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে “জয় বাংলা অ্যাভিনিউ” এর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। জয় বাংলা অ্যাভিনিউয়ে রাতের বেলায় আলোক সজ্জার জন্য রয়েছে নয়নাভিরাম স্ট্রিট লাইট এলইডি। পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম “জয় বাংলা অ্যাভিনিউ” উদ্বোধন করবেন।

আজ সরেজমিন নড়িয়ার নদী ভাঙন এলাকা বাঁশতলা, মুলফৎগঞ্জ, কেদারপুর, চন্ডীপুর, সুরেশ্বরের স্থানীয়দের মতে, বর্ষা এলেই পদ্মা পাড়ের মানুষের মনে জাগত ভাঙনের আতঙ্ক, আর্তনাদ ও হাহাকার। একসময়কার কোটি টাকার মালিক নদী ভাঙনে হয়েছেন নিঃস্ব। এমন পরিবার আছে শত শত। বর্ষা এলেই এ এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিত। প্রমত্তা পদ্মার ভাঙা-গড়ার সঙ্গে দিন-রাত লড়াই করে যারা কোনোরকমে বেঁচে থাকার চিন্তা করতেন, সে জায়গায় ভাঙন রোধ হয়ে এখন পরিণত হয়েছে ভ্রমণপিপাসুদের পর্যটন কেন্দ্রে। সেই জায়গায় এখন ভাঙন রোধ হয়ে গড়ে উঠেছে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল। আর পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ যেন এখন পর্যটন নগরী। প্রতিদিনই শত শত লোক নদীর পাড়ে ঘুরতে আসছেন।

নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে ১ হাজার ৪শ ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে “জয় বাংলা অ্যাভিনিউ” এর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই এলাকায় সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যবাহী বংশ ছিল তার নাম দেওয়ান বংশ। একসময় বাপ-দাদার বিশাল সহায়-সম্পত্তি ছিল। নদীগর্ভে সবই এখন বিলীনপ্রায়। একসময় অনেক অঢেল ধন সম্পত্তির মালিক ছিল। এখন আমরা নিঃস্ব নদী ভাঙনের কারণে। ৫০ বছরের নদীভাঙন কবলিত এলাকাকে রক্ষার করার জন্য বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটে গিয়ে ছিলেনে উপ-মন্ত্রী। তাঁর জন্যেই আজ আর নদী ভাঙে না। মানুষ এখন নিরাপদে বসবাস করতে পারছে।

এর আগের সংসদ সদস্য যারা ছিলেন তারা যদি তৎপর হতের তাহলে আর এলাকাবাসী নদীভাঙনের শিকার হত না।
স্থানীয়দের ভাষ্য নদীভাঙনে দেশের মানচিত্র থেকে এই এলাকা হারিয়ে যাচ্ছিল। ২০১৮ সালেই কেদারপুরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সেই সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই জনপদের সন্তান তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্রসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন তিনি। আ্ওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে উপ-মন্ত্রী নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এখন আর কোনো মানুষকে নদী ভাঙনে চোখের পানি ফেলতে দেখা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙন কবলিত এলাকার সেই আশ্রয়হীনদের গৃহায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয় দিয়েছেন। নড়িয়ার পদ্মাপাড় এখন পর্যটন কেন্দ্র। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। এর ফলে নড়িয়া-জাজিরার মানুষ নদী ভাঙন থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবেন।

পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, আমি নিজেও নদী ভাঙন এলাকার মানুষ। নদী ভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টটা আমি বুঝি। দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। তার নির্দেশে এলাকার মানুষকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। আমি নড়িয়া-সখিপুর তথা শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

উপ-মন্ত্রী এনামুল হক আরো বলেন, শুধু আমার নির্বাচনী এলাকাই নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ সারা দেশেই নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর বুকে যেন আর কোনো ঘরবাড়ি বিলীন না হয়, আমরা সে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার ফিংড়ীতে জামায়াতের যুব বিভাগের ইউনিয়ন ক্লাস অনুষ্ঠিত

আল মুজাহিদ, ফিংড়ী: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৪নং ফিংড়ী ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগেবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি: টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ICT কোচিংবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ঘেরের আইলে সবজি চাষে নতুন সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাছের ঘেরের চারপাশে ঝুলছে লাউ, করলা, শিম আর উচ্ছে। ঘেরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ
  • ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম
  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময়
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ
  • সাতক্ষীরা পিএন হাইস্কুল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক