সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শার্শায় প্রশাসনের নাকের ডগায় নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি খাদ্য

যশোরের শার্শায় প্রশাসনের নাকের ডগায় নোংরা পরিবেশে বেকারি কারখানাতে তৈরি করা হচ্ছে বেকারী খাদ্য সামগ্রী। অথচ প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ ও প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল।

অভিযোগের তথ্য-অনুসন্ধানে দেখা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলা সদর বাজারের কামারবাড়ি মোড় এলাকায় স’ মিলের পাশে প্রায় প্রশাসনের নাকের ডগায় নুর মদিনা নামক বেকারি ও নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বাজার সংলগ্ন নিমতলার মোড়ের রোডের একটু ভিতরে সাঈদ ফুড নামক সহ দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কোন প্রকার সরকারি নিয়ম নীতি ছাড়াই যত্রতত্র ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন বেকারীর ব্যবসা। বেকারী দু’টির কারখানাতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার বেকারী খাদ্যপণ্য। উৎপাদিত খাদ্যপন‍্যের মান প্রণয়ন এবং গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিত করণ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বেকারী মালিকরা চালিয়ে যাচ্ছেন অবাধে তাদের এ অবৈধ ব্যবসা।

উৎপাদিত খাবারে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদনসহ নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বেকারী খাবার তৈরী করতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, রং, ও নিন্মমানের পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি পায়ে খাবার তৈরী করছে। নোংরা ও অপরিষ্কার কড়াই গুলোতে আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ডালডা দিয়ে তৈরী করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঢাকনা নাই, ঝাকে ঝাকে মাছি ভনভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ছাড়াই বাহিরে মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে।

বেকারি মালিকেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে এমনও সচিত্র অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন চায়ের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক পলি প্যাকে ঝুঁলছে পাউরুটি, ক্রীম রোল, কেক সহ অন্যান্য বেকারী খাবার। মোড়কের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ বা কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে বা মেয়াদ কবে শেষ হবে তার কোনো উল্লেখ নেই।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ঝুঁকি।

জিজ্ঞাসাবাদে সাঈদ ফুড এর মালিক মোঃ জুলফিকার হোসেন জানান, প্রতি মাসে স্যানিটারি অফিসার একবার এসে ঘুরে চলে যায়। অন্যদিকে চা দোকানদাররা বলেন, আমরা গরীব মানুষ চা-পান বিক্রি করে সংসার চালাই। উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নাই।

এমতাবস্থায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিকার দপ্তরের স্যানিটারী ইন্সেপেক্টরসহ ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের নিকট নোংরা বেকারী-কারখানা দু’টিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সচেতন মহল দাবী জানিয়েছেন।

এবিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল ও সহকারী (ভূমি) কমিশনার ফারজানা ইসলামকে অবহিত করলে তাঁরা জানান, খুব দ্রুতই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত

বাংলাদেশে রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পে প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপির অর্থায়ন ও নির্মাণবিস্তারিত পড়ুন

‘সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না’

সংস্কার না করে জাতীয় সংসদ আর স্থানীয় সরকার- কোনো নির্বাচন করেই ভালোবিস্তারিত পড়ুন

ভোমরায় বিজিবি’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ প্রদান

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরায় সাতক্ষীরাবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় স্বপ্ন সিঁড়ি’র ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত
  • আশাশুনিতে স্কুলের জমি জবর দখলে বাঁধা দেওয়ায় ইজারা গ্রহিতাকে মারপিট: আটক ১
  • আশাশুনিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা
  • বিচার ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
  • যাদের উসকানিতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ
  • ‘নীলফামারীতে হবে চীন সরকারের হাসপাতাল’
  • কলারোয়ায় চার দলীয় দিবারাত্রির ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা খুলনা ভেটেরান্সের
  • সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী
  • সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
  • কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে মহাত্মা হ্যানিম্যানের জন্মবার্ষিকী পালিত
  • আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ