১০ ডিসেম্বর বিএনপির কেন প্রিয়, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় তারিখ, এজন্যই তারা ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নাকি তারা ঢাকা অচল করে দেবে। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের হত্যা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। এ কারণেই এই তারিখ বিএনপির এত প্রিয়।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি গণতন্ত্রকে ভয় পায়, তারা গণতান্ত্রিক ধারায় ক্ষমতায় যেতে চায় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দুই গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বাংলার জনগণ তা মেনে নেয়নি, তাকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ছিলেন।ওরা ভোট চুরি করেই ক্ষমতায় আসতে চায়। গণতান্ত্রিক ধারা তারা পছন্দ করে না। গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজয়ের মাসে এগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার উপহার।
এসময় চট্টগ্রামে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে রোববার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
সমাবেশ শুরুর আগেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে পলোগ্রাউন্ডে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ময়দান।
ঢাক-ঢোল, বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে জনসভা মাঠে আসেন তারা। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা গায়ে নানা রঙের রঙিন জামা, মাথায় ক্যাপ পরে আসেন। বিভিন্ন ইউনিটের রঙিন পোশাকের বর্ণিল রঙে সেজেছে পুরো মাঠ ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক।
পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকা প্রতিকৃতির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বিরাট মঞ্চ। লাল-নীল, সবুজ, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের বেলুনে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো মাঠ।
জনসভায় শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)