রাজশাহীতে নাবালিকাকে ধর্ষণ মামলায় আসামী লিটন গ্রেফতার
রাজশাহী মহানগরীতে (১৩) বছরের এক নাবালিকা জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলায় লিটন হোসেন (৪২) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধর্ষিতা নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। এ ঘটনায় নাবালিকার মা মোসাঃ নাজমা বেগম (৩৯) বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৭,তাং-১০/০২/২০২৩।
মামলার পর মতিহার থানার ওসি ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে গতকাল ধর্ষক লিটনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত লিটন মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা মৃধাপাড়া এলাকার মরহুম আজিমুদ্দিনের ছেলে।
গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান।
এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানায়, অভিযুক্ত লিটন ও নাবালিকার পরিবার ধরমপুর এলাকায় জনৈক কামালের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
নাবালিকার মা বাসা বাড়ীতে কাজে গেলে বাড়ি ফাঁকা থাকতো। সেই সুযোগে নাবালিকাকে একা পেয়ে বিভিন্ন সময় তার শরীরে হাত দিত এবং কু-প্রস্তাব দিত লিটন। ইতিপূর্বে বিষয়টি নাবালিকা তার মা’কে জানায় এবং তার মা প্রতিবাদ করেছিলো।
এরই ধারবাহিকতায় নাবালিকার মা কাজের জন্য বেরিয়ে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাবালিকাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায় লিটন। এ সময় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন সঙ্গম করে। পরে নাবালিকাকে বলে এই ঘটনা কাউকে বললে তোকে কেটে পদ্মা নদীতে ফেলে দেব। বিষয়টি ভয়ে নাবালিকা গোপন রাখে।
এরপর গত (৫ ফেব্রæয়রি) সকাল সাড়ে ১০টায় নাবালিকার বুকে পুঁজ জমে এবং বুকে ব্যাথা অনুভব করে। বিষয়টি নাবালিকা তার মা’কে জানায়। পরে তার মা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
এদিন নাবালিকা তার মা’কে পূর্বের সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলে। পরে নাবালিকার (১৩) মা মোসাঃ নাজমা বেগম বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি আরও বলেন, মামলার দায়েরের পরেই অভিযুক্ত লিটনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরিক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে নাবালিকার সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানায় ওসি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)