২০১৮-এর নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল আ.লীগের, জানালেন মেজর হাফিজ
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ৮০ আসন দেওয়ার সমঝোতা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটির সহসভাপতি সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজউদ্দীন আহমেদ।
বুধবার বনানীর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে বর্ষীয়ান এ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৮০ আসন দেওয়ার ব্যাপারে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছিল বলে শুনেছি। সেই ৮০ আসনের তালিকাতেও আমি ছিলাম না।’
বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে আমি গুরুত্বহীন ব্যক্তি। আমি কোনো নতুন দল করছি না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, আজগুবি ১১ অভিযোগে বিএনপি তাকে শোকজ করেছিল। ৩১ বছর দলটির রাজনীতি করার পর তার বিরুদ্ধে আজগুবি অভিযোগ আনা হয়েছিল।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৩ বছর ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, আমার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছে, তারা এখন আমার চেয়ে ওপরের পদে।
তিনি বলেন, অসুস্থার কারণে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়, রাজনীতিতে আর আগ্রহ নাই, জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণে বিএনপির বর্তমান এই পরিণতি।
এই নেতা বলেন, বিএনপিতে খালেদা জিয়ার সামনে সত্য বলার কেউ সাহস পায় না, শুধু সাইফুর রহমান বলতেন। তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব না। বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। কেয়ারটেকারে জোর না দিয়ে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। তবে তিনি এও বলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দুর্বল।
মেজর হাফিজ দল গঠন করছেন এমন আলোচনা রাজনীতিতে আলোচনায় আছে। তবে আজ তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন নতুন দল গঠন করছেন না। এমনকি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণও করবেন না।
বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেছেন আলোচনা করে নির্বাচনের সুস্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।
বিএনপিতে সংস্কার আনতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাফিজ বলেন, এভাবে কোনো দল চলে না। বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্য, একনায়কতন্ত্র, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করা, পকেট ভারি করা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির সদস্য হিসেবেই রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চাই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)