আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০ টি বাড়ি, দোকানে হামলা, আহত-৮, আটক ১৩
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০ টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর হয়েছে। হামলা আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে এসব ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমান আশাশুনি উপজেলার পাঁচ থেকে ছয়টি ইউনিয়নে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিম জানান, বিজয়ী চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কর্মী পিরোজপুর গ্রামের মিলন পারভেজের নেতৃত্বে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিরোজপুর গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ পিরোজপুর গ্রামের কমপক্ষে ৫টি বাড়ি তছনছ করে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার (২২ মে) সকালে ও বিকালে বিচ্ছিন্ন হামলায় ভাঙচুর হয় গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ, তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান, লিটন সরদার, প্রতাপনগরের আব্দুস সামাদসহ কমপক্ষে ২০ জনের বাড়ি।
এছাড়া প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছেন চেউটিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান ও তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেন, আসাদুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৮ জন। বর্তমান আমার ঘোড়া প্রতীকের কর্মীরা বিভিন্নভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তবে বিজয়ী প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিমের দাবি,এটা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়,এটি আসলে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। ডালিমের কর্মী-সমর্থকরা গুনাকরকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন, গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ সানার বামনডাঙ্গাস্থ বাড়ি ভাঙচুর করেছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পিরোজপুর গ্রামের আব্দুর রহমান,আবুল কালাম আযাদ,জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদ মামলা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)