শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ তোফাজ্জল হোসেনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। পরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে যখন এই তোফাজ্জল হোসেনকে মারধর করা হচ্ছিল তখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য তিনি স্বজনদের নম্বর দিয়েছিলেন।

খবর পেয়ে তোফাজ্জলের মামাতো বোন আসমা আক্তার তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক ছাত্রের নম্বরে ফোন করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, ‘ও পাগল’। তখন ফোনে থাকা ছাত্রটি বলেন, “পাগলে এত নম্বর মনে রাখে ক্যামনে?”

তানিয়ার অভিযোগ, এরপর তাকে আরও বেশি করে মারধর করা হয়।

তানিয়া বলেন, ‘ও যখন আমার আব্বার নম্বর, ওর ভাবির নম্বর, চাচাত ভাইদের নম্বর দিছে, তখন ওরে আরও বেশি মারছে। ওরা আবার বলছে, “একটা পাগলের এত নম্বর মুখস্থ থাকে ক্যামনে?” ’

‘পাগলে ক্যামনে এত নম্বর মনে রাখে কইয়া আরও মারছে’- বারবার একই কথা বলছিলেন তানিয়া।

‘কিন্তু সব পাগল তো এক রকম না। সব পাগলের আচরণ তো একই রকম না’, বলছিলেন তোফাজ্জলের মামাতো বোন।

তানিয়া ফোনে ভাইকে বাঁচাতে কাকুতি মিনতি করলেও কারও মন গলেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আমি তাদের বলছি, আপনারা যারে ধরছেন ও কোনো অপরাধী না, ও পাগল, হয়ত খিদা লাগলে কারও খাবারের দিকে হাত বাড়াইতে পাড়ে অথবা টাকা চাইতে পারে, এর বেশি কিছু ও করে না। ও পাগলামি কইরা কাউরে মারধর করে না, কারও ক্ষতিও করে না। কিন্তু তারা শোনে নাই। এমনভাবে কোনো মানুষ একটা মানুষরে মারতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।’

এদিকে, দেশে গণপিটুনির বেশিরভাগ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আলোচনায় না আসলে পুলিশের তেমন তৎপরতা থাকে না। সেই মামলার তদন্ত বিচার ঝুলে থাকে বছরের পর বছর।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেণু নামে এক নারীকে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনা বেশ আলোচিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।

সংবিধানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হলেও দেশের প্রচলিত আইন ও তদন্ত ব্যবস্থায় গণপিটুনিতে শাস্তি নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। এ কারণে গণপিটুনিতে অংশ নেওয়ার অপরাধে বাংলাদেশে কারও দণ্ড হওয়ার নজির বাংলাদেশের আদালতে বিরল বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

একই রকম সংবাদ সমূহ

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদর দপ্তর

সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।বিস্তারিত পড়ুন

বায়তুল মোকাররমে ফিরে এলেন আগের খতিব, দুপক্ষের সংঘর্ষ

রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।বিস্তারিত পড়ুন

বন্যা অঞ্চলে ২০ কোটি টাকার অধিক ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বিএনপি

বন্যার্তদের সাহায্যে ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বানবিস্তারিত পড়ুন

  • শে*খ হা*সিনা রেহানা জয়সহ ৩৮৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যার আরেক মামলা
  • যে মামলায় গ্রেফতার আলোচিত অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর
  • বিচার শুরু হলে হা*সিনাকে ফেরত চাইবে অন্তর্বর্তী সরকার : উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
  • সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ হবে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার
  • সামাজিক ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিতে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই : উপদেষ্টা নাহিদ
  • হা*সিনার দেশ ছাড়ার দৃশ্য দেখে সেদিন যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া
  • ঢাবিতে চোর সন্দেহে যুবকেকে নির্যাতন করে হত্যা, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
  • ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে থানায় সোপর্দ
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী
  • মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে, খরচ সাড়ে ২০ লাখ
  • দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো আ.লীগ : তারেক রহমান