শনিবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকবান্ধব না হলে আর কে হবে: উপ-প্রেস সচিব

বিগত সরকারের আমলে শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হওয়া প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ এসব মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারকে ‘শ্রমিকবান্ধব’ বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেছেন, ৪৮ হাজার শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই সরকার যদি শ্রমিকবান্ধব বা দরিদ্রবান্ধব না হয়, তবে আর কে হবে?

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন ফ্রিল্যান্স গবেষক এবং একাধিক পশ্চিমা গণমাধ্যমের সংবাদদাতা হিসেবে গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি।

অনেক কারখানায় শ্রমিকদের আধুনিক দাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পশ্চিমা সমর্থিত দুটি প্ল্যাটফর্ম—অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স—ব্র্যান্ড ও কারখানার মালিকদের ওপর আইনগত বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দিলে কারখানার নকশাগত কাঠামোতে উন্নতি আসে।

কিন্তু এতে কর্মপরিবেশে তেমন পরিবর্তন আসেনি। অতি সামান্য মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং আইনগত সুবিধার অভাব শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

কারখানায় প্রকৃত ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে শ্রমিকদের কিছুটা স্বস্তি আসতে পারতো। কিন্তু অনেক কারখানায় মালিকদের প্রভাবিত তথাকথিত পিসি কমিটি (পার্টিসিপেশন কমিটি) ইউনিয়নের জায়গা দখল করেছে।

এটি একদিকে মালিকদের ক্রেতাদের কাছে কারখানাকে ‘কমপ্লায়েন্ট’ হিসেবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করেছে, অন্যদিকে শ্রমিক শোষণের পথ খুলে দিয়েছে।

ফলশ্রুতিতে শ্রমিকরা তাদের কণ্ঠস্বর হারিয়েছে, আর চরম মূল্যস্ফীতির মধ্যে ন্যায্য মজুরির দাবিও নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে, ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে এবং আইনগত হয়রানির শিকার করা হয়েছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রথার অবসান ও দেশের শ্রমখাত সংস্কারের উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

সরকারের এ প্রচেষ্টার এক চমৎকার ফল হলো ৪৮ হাজার শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার করা। যদি এই সরকার শ্রমিকবান্ধব বা দরিদ্রবান্ধব না হয়, তবে আর কে হবে?

একই রকম সংবাদ সমূহ

দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে দেয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে দেড়বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের ভা*ঙচুর-অ*গ্নিসংযোগ

রাজধানীর কাকরাইলে আবারও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুর চলছে।বিস্তারিত পড়ুন

আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্নের কথা জানালেন জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াত শুধু দেশের নাগরিক এবংবিস্তারিত পড়ুন

  • টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্সিং নীতিমালা যুগান্তকারী পদক্ষেপ
  • হাতকড়া-শেকল পরিয়ে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র
  • ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ
  • জাতিসংঘ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে পূর্ণ সমর্থন করে : গুইন লুইস
  • সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ
  • তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তরা নির্বাচনের অযোগ্য হবেন : প্রেস সচিব
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান নিয়োগে বড় পরিবর্তন আসছে
  • নতুন পে-স্কেলের আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘভাতা পাবেন
  • নির্বাচনে কোনো অন্যায় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: রহমানেল মাছউদ
  • ‘আপত্তি সত্ত্বেও পুলিশে গোপালগঞ্জ দ্বন্দ্ব আড়াল করতে ফের আইজিপি করা হয় আমাকে’