বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৬ ডিসেম্বর কলারোয়া মুক্ত দিবস

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর, বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঠিক ১০দিন আগে এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিতাড়িত করে মুক্ত হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদ কলারোয়া উপজেলা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর উল্লাসে মেতে ওঠে কলারোয়ার মুক্তি পাগল দামাল ছেলেরা। এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়ার মাটিতে (থানার ভিতরে) উত্তোলন করে স্বাধীন দেশের পতাকা।

রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮নং সেক্টরের অধীনে ছিলো কলারোয়া উপজেলা। পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমনে কলারোয়ায় প্রথম শহীদ হন উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের আফছার সরদার। পরে এপ্রিল মাসে পৌর সদরের বেতনা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের পার্শ্ববর্তী পালপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী পাকবাহিনী তাদের এদেশিয় দোসরদের সহায়তায় সেখানে হামলা চালিয়ে লাইন দিয়ে দাড় করিয়ে নিরস্ত্র ৯ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।
তিনি বলেন, কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্থান সেনাদের একাধিক সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে। তবে, এর মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার ভারত সীমাস্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ অন্যতম। এই যুদ্ধে ২৯ জন পাকিস্তান সেনাকে হত্যা করা হয় এবং ১৭ জন বাংলা মায়ের স্বাধীনতাকামী বীর সন্তান শহীদ হন।

এই বীর যোদ্ধা আরো বলেন, এর আগে ২৭ আগস্ট চন্দনপুর এলাকা থেকে পাক বাহিনীকে বিতাড়িত করে চন্দনপুর মুক্ত করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কাকডাঙ্গার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনের মুখে পাকিস্থান সেনারা কাকডাঙ্গা ঘাঁটি ছাড়তে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধারা শার্শা উপজেলার বাগআচঁড়ায় দু:সাহসিক হামলা চালিয়ে ৭জন পাক হানাদারকে হত্যা করে।
মায়ের ভুমিকে রক্ষার জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে কলারোয়া ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বীর সেনানীরা একের পর এক সফল অপারেশনের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত ভাবে পাক বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় কলারোয়া উপজেলা।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বই থেকে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার ৩৪৩ জন কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। এদের মধ্যে ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধ পরিচালনায় এ অঞ্চলে গুরুত্বপর্ণ ভুমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ও প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদের সদস্য এমসিএ মমতাজ আহম্মেদ, ভাষা সৈনিক শেখ আমানুল্লাহ, বিএম নজরুল ইসলাম, ৭১ এর রনাঙ্গনে যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন, শ্যামাপদ শেঠ প্রমুখ। মুক্তিকামী বীর যোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে অবশেষে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিতাড়িত করে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই ৬ ডিসেম্বর কলারোয়া পাকহানাদার মুক্ত করে।

এদিকে ৬ ডিসেম্বর, কলারোয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মেতেছে হাজারো জনগণ

মেহেদী হাসান শিমুল: পলো বাওয়া উৎসব গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। কালের বিবর্তনেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মশালা

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ করণীয়বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় গ্রাম আদালতের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় গ্রাম আদালতের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪বিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণ
  • কলারোয়ায় বেড়েছে কুলের চাষ
  • কলারোয়ায় জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা
  • কলারোয়ায় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
  • দৈনিক ইনকিলাবের কলারোয়া সংবাদদাতা হলেন আসাদুজ্জামান ফারুকী
  • কলারোয়ায় কৃষি ব্যাংকের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বাইসাইকেলে বিতরণ
  • কলারোয়ার বোয়ালিয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টে হঠাৎগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন
  • কলারোয়ায় অসহায় মুদি দোকানীকে মুদিপণ্য দিলেন গদখালী প্রবাসী মানবতা কল্যাণ সংঘ
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে রাতব্যাপী ১৬দলীয় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় কপাই ফুটবল টুর্নামেন্টে শ্যামনগরের শিরোপা জয়
  • কলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নের
  • কলারোয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগর