‘মুজিব চিরন্তন’: গণমানুষের মনে মুজিব স্মৃতির উদযাপন
ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু বাঙালির অস্তিত্ব আর চেতনায় শেখ মুজিবের নাম খোদাই হয়ে গিয়েছিল বহু আগে; তিনি যে বঙ্গবন্ধু!
পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ভাটি বাংলায় গণমানুষের মনে তাদের অবিসংবাদিত নেতার সেই স্মৃতির উদযাপন হল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দিন শুক্রবার মানুষের হৃদয়ের বঙ্গবন্ধুকে চিত্রিত করার জন্যেই সব আয়োজন সাজিয়েছিল জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
গণমানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা স্মরণ করে তার মেয়ে শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে বলেন, শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য বদলানোর জন্য বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, তার নিজের জীবনের কোনো চাওয়া পাওয়া ছিল না।
“তিনি এই বাংলার মাটি, যা হাজার বছরের পরাজয়ের গ্লানি বয়ে বেড়িয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই কিন্তু প্রথম এই মাটির সন্তান, যিনি এই দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং এই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রীত্ব পান।”
আর বন্ধুর পথ পেরিয়ে গত অর্ধশতকে বাংলাদেশ যে উন্নয়নকে সম্ভব করেছে, তার প্রশংসা করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে বলেন, বাঙালির জোড়া উদযাপনে এই উন্নয়নচিত্রই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সম্মান’।
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন নীতিনিষ্ঠ মানুষ। বাংলার মানুষের জন্য তিনি তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন, এই বাংলার ভাষা এবং তাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য। স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এবং একটি নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে তিনি ছিলেন দৃঢ়চিত্ত।
“দুর্ভাগ্যবশত তিনি তার প্রিয় দেশের জন্য যে স্বপ্ন লালন করছিলেন, তার বাস্তবায়ন দেখে যাওয়ার জন্য বেঁচে থাকতে পারলেন না।”
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে অনুষ্ঠানস্থলে এলে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিরপুরের সরকারি পিএইচ সেন্টারের বাসিন্দাদের ইশারা ভাষায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়।
জাতীয় সংগীতের পর অতিথিরা আসন গ্রহণ করলে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। মুজিববর্ষের থিম সংয়ের পর দেখানো হয় বিমান বাহিনীর ফ্লাই পাস্টের রেকর্ড করা ভিডিও।
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের উপর অডিও-ভিজ্যুয়াল দেখানোর পর স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন গতিতে চলমান নদীর মত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তি এই শ্যামল-বাংলায় অনন্তকাল ধরে প্রবাহমান থকবে। রোদ-বৃষ্টি, কাদা-জল আর গ্রামবাংলার অপরূপ প্রকৃতির মাঝে বঙ্গবন্ধু বেড়ে উঠেছিলেন।
“এদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের দুঃখ-বেদনা তার কোমলমতি হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। তখন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন।”
শোষণ, অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আপসহীন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যুদ্ধ জয়ের পর বঙ্গবন্ধু তার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। বিজয়ের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে শুরু করলেন নতুন এক স্বপ্নযাত্রা।
“কিন্তু তার অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে এক কঠিন চক্রান্তের অংশ হিসাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হল তাকে।”
দিনের থিমের আলোচনা করতে গিয়ে ’চিরকালের বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “তৃণমূল থেকে আসা একজন মানুষ, যিনি স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই রাজনীতির মাঠে নামেন। বাঙালির উপনিবেশ মুক্তির আন্দোলনে অংশ নিয়ে তাকে এক যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে কাটাতে হয়। এবং তার জীবনাবসান হয় এক নির্মম হত্যাযজ্ঞে।
“এই মানুষটির স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য অনেক ব্যক্তি, দল এবং রাষ্ট্রযন্ত্র নিরন্তর চক্রান্ত ও অপচেষ্টা করেছে। অথচ তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল থেকে মানুষের মনে ও জাতির কল্পনায় চিরদিনের মতো জায়গা করে নিলেন। স্বাধীনতার দুবছর আগে থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু বলে বাঙালিরা ডাকতে শুরু করে।”
অধ্যাপক মনজুরুল বলেন, অনেক সংগ্রামী নেতা স্বাধীনতা ও দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মত প্রতিকূলতা তাদের সবার মোকাবেলা করতে হয়নি। বঙ্গবন্ধু সময়কে পরাস্ত করে ইতিহাসের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।
মাত্র ৫৪ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে বঙ্গবন্ধুর অর্জনের যে ব্যাপ্তি, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই অর্জনগুলো তার সমকালে এবং বিশ্বের মানুষের সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তাকে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের মর্যাদা দেয়। প্রখর রাজনৈতিক চিন্তা ও ইতিহাস চেতনা এবং সমাজ ও মানুষ নিয়ে তার সুস্পষ্ট ধারণার কারণে তার লক্ষ্য ছিল খুবই সুনির্দিষ্ট।”
সারাজীবনের কাজ, দর্শন ও একাগ্রতার কারণে বঙ্গবন্ধু চিরকাল জাতির স্মরণে মননে থাকবেন মন্তব্য করে এই সাহিত্য সমালোচক বলেন, “তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ যখন একটা দেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায়ের প্রণেতা এবং নায়ক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি এমনিতেই মানুষের স্মৃতিতে ও সৃজনশীল কাজে একটি চিরস্থায়ী উপস্থিতি হয়ে ওঠেন।”
মূল থিমের উপর আলোচনার পর এক ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশের জন্মলগ্নের সময় থেকে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
তিনি বলেন, “অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছে রাশিয়া, যিনি একজন লড়াকু নেতা হিসেবে জনগণের স্বাধীনতা ও সুখের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া যে বাঙালির পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সে কথা উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায় করতে গিয়ে কঠিন মূল্য দিয়েছিল পূর্ব বাংলার মানুষ। সে সময় আমাদের দেশ বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সমর্থন দেয় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখে।”
এরপর সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার হাজার বছরের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে সেটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
তিনি বলেন, “এই একুশ শতকে এসে আমাদের নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা অর্জনে তাদের পূর্বসূরিদের সীমাহীন ত্যাগের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একজন প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে পাশে থেকে কাজ করবে।
“অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও দারিদ্র্য দূর করা ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও লক্ষ্যগুলো এখনও চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে রাজাপাকসে বলেন, “বাংলাদেশের মাটি উর্বর এবং এখানকার মাঠে সোনার ফসল ফলে। আমাদের যে উর্বর ভূমি আছে তা বিশ্বের খুব কম দেশেরই আছে।
“আমাদের দুই দেশের ভৌগোলিক অবস্থান সামুদ্রিক যোগাযোগ, বাণিজ্য ও মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক জোরদারের জন্য খুবই সহায়ক।”
‘মুজিব চিরন্তন’ আয়োজনের শ্রদ্ধা-স্মারক রাজাপাকসের হাতে তুলে দিয়ে আলোচনা পর্বের সমাপনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব দিকে বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত, সমৃদ্ধ জীবন পায়, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, যা তিনি সব সময়ই বলতেন।
“আসুন, জাতির পিতার এই ১০১তম জন্মদিন আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা নিই, জাতির পিতা যেই স্বপ্ন রেখে গেছেন, সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সোনার বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে বাংলাদেশ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হতে পেরেছি। কাজেই এই বাংলাদেশে আজ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী আমরা সরকারে থেকে উদযাপন করার সুযোগটা পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম বলে। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
সাংস্কৃতিক আয়োজন
দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা।
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল কবিতা আবৃত্তি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ওপর লোকসংগীত পরিবেশনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যনাট্য পরিবেশনা।
এ পর্বে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ’বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে’ গানটি গেয়ে শোনান কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি গানটি গাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এক ভিডিওবার্তায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে মানুষ এ ভালোবাসা দেখিয়েছে, জানি না এর যোগ্য আমি কি-না।”
দুই প্রজন্মের শিল্পীদের সম্মিলিত সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় দিনের আয়োজন শেষ হয়। পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাহিন্দা রাজাপাকসে।
চতুর্থ দিনের থিম ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের চতুর্থ দিন শনিবারের অনুষ্ঠানের থিম ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের এ অনুষ্ঠান টেলিভিশন, বেতার ও ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে রাত ৮টায়। মাঝখানে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত থাকবে বিরতি। আগের তিন দিনের মতই প্রথম পর্বে আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করবেন। থিমভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ আল ওথাইমিন, ফ্রান্সের সিনেটর ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ ফর সাউথ ইস্ট এশিয়ার প্রেসিডেন্ট মাদাম জ্যাকুলিন ডেরোমেডির ভিডিও বার্তা দেখানো হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে থাকবে জাপানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, সমসাময়িক শিল্পীদের পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুর পছন্দের গান, থিমেটিক কোরিওগ্রাফি এবং দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)