সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বিশালাকার বাঘের রহস্যজনক মৃত্যু
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের চুনকুড়ি রাজাখালী খালের পাশ থেকে বিশালাকারের ওই বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। এর আগে সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঘের অর্ধগলিত মৃতদেহ পায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া কয়েক জেলে রোববার সকালে লোকালয়ে ফিরে সাগর সংলগ্ন মামুন্দো নদীর পার্শ্ববর্তী রাজাখালী খালের পাশে মৃত বাঘ দেখার তথ্য জানায়। একপর্যায়ে প্রত্যক্ষদর্শী জেলে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামের সাইফুল ও মোমতেজকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বনবিভাগ ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এ সময় অর্ধগলিত বাঘের শরীরে চামড়ার অস্তিত্ব থাকলেও দাঁত ও নখগুলো বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা যায়।
সুত্রগুলো আরও জানিয়েছে মুলত কদমতলা ষ্টেশন থেকে পাশ নিয়ে সুন্দরবনে গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী দুই জেলে সাইফুল ও মোমতেজের দীর্ঘ পানিপথ পার হয়ে মাছ শিকারে এতদুরে যাওয়ার কথা না। হরিণ শিকারী চক্রের পাতা ফাঁদে পড়ে বাঘটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেও বেলাল হোসেনসহ স্থানীয়রা নিজেদের শংকার কথা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ইসলাম ও মোমতেজ জানায়, মাছ শিকারের সময় তারা দুর্গন্ধ পেয়ে জঙ্গলের গহীনে প্রবেশ করে মৃতদেহটি শুকরের বলে ধারণা করে। পরবর্তীতে আরও ভালভাবে দেখার পর তারা মৃত জন্তুটি বাঘ বলে নিশ্চিত হয়। এসময় বাঘের শরীরে পশম না থাকলেও চামড়া অক্ষত ছিল-দাবি করে দাঁত ও নখগুলো দেখা যায়নি বলেও তারা নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় একাধিক চক্র বাঘের নখ, দাঁতসহ মূল্যবান অঙ্গ-প্রতঙ্গ হাতিয়ে নিয়ে গোপনে বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে বনবিভাগ জানিয়েছে, বয়সজনিত কারনে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন। মেয়ে প্রজাতির বিশালাকারের এ বাঘের ময়নাতদন্ত শেষে তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। অন্তত ১৫/২০ দিন আগে বাঘটির মুত্যৃ হয়েছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবনের সহকারী বনসংরক্ষক এম এ হাসান জানান, বাঘটির ময়নাতদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে বাঘের মৃত্যুসহ সবগুলো বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করা যাবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)