‘ছাড়ার সময়ই লঞ্চটির ডেক বেশ গরম ছিল, কার্পেট বিছিয়ে দেন স্টাফরা’
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (বরিশাল) কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন।
আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দগ্ধ অনেকের মৃত্যু হওয়ায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে জানা গেছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রাম এলাকায় ভেড়ানো হয়।
লঞ্চটিতে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, সেটি এখনো বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
ঝালকাঠি থেকে স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস শিকদার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার খবর পান তিনি।
এসময় লঞ্চ থেকে অনেক যাত্রী জীবন বাঁচানোর জন্য নদীতে লাফ দেন বলেও জানান এই সাংবাদিক।
এই লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল বলে জানা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস শিকদার জানান, লঞ্চটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবার সময় দোতলার ডেক বেশ গরম ছিল। এনিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করলে লঞ্চের স্টাফরা তখন কার্পেট বিছিয়ে দেন। কিন্তু এই গরম ক্রমাগত বাড়তেই থাকে।
একপর্যায়ে ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে যায় বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)