রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ড্যান মজিনার পথেই কি হাঁটছেন পিটার হাস?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে আর সময় আছে প্রায় দুই মাস। ফলে দিন যতই কমে আসছে, রাজনীতির মাঠ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর বিরোধীদলীয় দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দমিয়ে রাখতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে পুলিশ।

এদিকে এবারের জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক দলের বাইরেও সোচ্চার আছেন বিশ্বের অনেক প্রভাশালী দেশ ও সংগঠন। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও বেশ আলোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেমন ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত গোলাম মাওলা রনি।

রনি বলেন, আজকে পিটার ডি হাস যেমন রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের দিকে ড্যান মজিনা নামে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনিও একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।

ওই সময়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো। ওই সময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির খুব সুসম্পর্ক ছিল। আমেরিকা তখন বাংলাদেশের যে কোনো বিষয়ে দিল্লির পরামর্শে চলত।

কারণ ২০১৪ সুজাতা সিং বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। যিনি ভারতের বহিঃগোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তার এই কর্তৃত্বের মধ্যেও ড্যান মজিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এককথায় আজকের পিটার ডি হাসের মতো মজিনাও চেয়েছিলেন বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হোক।

ওই সময় আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলে। পরে ঘোষণা দেয়, পরে আরেকটি নির্বাচন করব, সেখানে সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে। তবে পরে আর আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি। কিন্তু ড্যান মজিনা আওয়ামী লীগের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিলেন। ফলে বিএনপিকে আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনও বন্ধ করিয়েছিলেন ড্যান মজিনা।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কথা না রাখলে তিনি খুবই বিব্রত ও লজ্জিত হয়ে পড়েন। এর পর কিছু দিন বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকারও হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা তাকে ‘কাজের মেয়ে মর্জিনা’ বলে সম্বোধনও করেছিল। এর পরও মর্জিনা আওয়ামী লীগের কিছুই করতে পারেনি। বরং নাকে ক্ষত দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল।

এদিকে গত কয়েক বছর থেকে পিটার ডি হাস প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমনকি ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে আমেরিকার যেসব বলিষ্ঠ কর্মকাণ্ড রয়েছে, এগুলোকে প্রয়োগ করার জন্য তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। যথেষ্ট শ্রম দিচ্ছেন। বর্তমানে কিন্তু ড্যান মজিনার মতো তিনিও আওয়ামী লীগের কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের স্বীকার হচ্ছেন। অনেকে তাকে বিরোধী দলীয়দের ত্রাণকর্তা বলছেন। পিটার ডি হাসের কাছে যে বিএনপির জনপ্রিয়তা সেটি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের লোকজন সহ্য করতে পারছেন না। ড্যান মজিনার মতো পিটার ডি হাসকে অনেক নামে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের লোকজন।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

বিচার ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচার ব্যবস্থাকেবিস্তারিত পড়ুন

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আবারো বৈঠকে বিএনপি

পাঁচ কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মতামত দিতে দ্বিতীয় দিনের মত জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

যাদের উসকানিতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ

গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ফলে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি
  • আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
  • নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ
  • এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
  • ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না : মির্জা ফখরুল
  • একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ
  • আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
  • নির্বাচনের দেখা নেই, জনগণ সুখে নেই: ফারুক
  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক
  • ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল নিয়ে যা বললো ডিএমপি
  • পুরোনো শত্রু মিত্র হওয়ার অনেক উদাহরণ আছে : উপ-প্রেস সচিব