বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে বাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে ওয়াশিংটন: কুগেলম্যান

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা জাতি গঠনে সম্পদ বরাদ্দে ‘খুব সামান্যই আগ্রহী’। তার মতে, ওয়াশিংটন এখন ঢাকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে বাণিজ্য এবং পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে সাম্প্রতিক টেলিফোন কথোপকথনের কথা উল্লেখ করে কুগেলম্যান বলেন, ইউনূস-রুবিওর ফোনালাপ নিয়ে উভয় সরকারের বিবরণ থেকে বোঝা যায়, ওয়াশিংটন এখন ঢাকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে বাণিজ্য এবং বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে।

ফরেন পলিসির সাউথ এশিয়া ব্রিফ-এ কুগেলম্যান উল্লেখ করেছেন, দুই নেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অংশীদারত্বের বিষয়ে কথা বলেছেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই নিরাপত্তা বৃদ্ধির মূল অর্থ হলো চীনকে মোকাবেলা করা।

কুগেলম্যান বলেন, দুটি উদ্দেশ্যই (বাণিজ্য এবং বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতা) ঢাকার জন্য চ্যালেঞ্জ। ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না করলে বাংলাদেশ ৩৭ শতাংশ মার্কিন শুল্কের সম্মুখীন হবে।

কুগেলম্যান পর্যবেক্ষণ করেছেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে আসছে, যার লক্ষ্য বৃহৎ শক্তিগুলোর পক্ষে বা বিপক্ষে না থেকে তাদের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখা।

গত সোমবার অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে ফোনে কথা বলেন, যা দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ-মার্কিন আলোচনার একটি। কুগেলম্যান মনে করেন, এই ফোনালাপটি ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ধরন কেমন হতে পারে, তার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।

বাইডেন প্রশাসনের শেষ মাসগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তারা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কারের জন্য নতুন উন্নয়ন সহায়তা ও কারিগরি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা গত আগস্টে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছিল।

ফোনালাপ শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন শুল্ক সমস্যা মোকাবেলায় শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। সরকার আশা করছে, মার্কিন সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনার মাধ্যমে এই শুল্ক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে আগামী ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: ইউএনবি

একই রকম সংবাদ সমূহ

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

বৈঠক করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এবিস্তারিত পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতেবিস্তারিত পড়ুন

হাওরের প্রকল্প স্থগিত

কিশোরগঞ্জসহ দেশের ৮ জেলার হাওর অঞ্চলে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত একটি প্রকল্প স্থগিতবিস্তারিত পড়ুন

  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়লো, পাবেন দুই ধাপে
  • বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আনলে দিতে হবে না শুল্ক
  • নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার রোধে সেন্ট্রাল সেল করা হবে : সিইসি
  • ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত : বেবিচক চেয়ারম্যান
  • নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ
  • আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার
  • জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
  • জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
  • সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক
  • গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা গিয়ে কী করব: সেফ এক্সিট প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আমরা স্বাভাবিক এক্সিট চাই: ধর্ম উপদেষ্টা