নড়াইলে মিথ্যা অপহরণ মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরচ্ছে এক প্রবাসী যুবক
নড়াইলের সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের ভান্ডালীপাড়া গ্রামের শেখ রজব আলীর মেয়ে দুই সন্তানের জননী তানজিরা খানম (২২) ফেসবুকে প্রেমের সর্স্পক হয় পাশের শংকরপুর গ্রামের মোশারেফ খানের ছেলে মালোশীয়া প্রবাসী জসিম খানের সাথে। জসিম খান ছুটিতে বাড়ি আসলে উভয়েরর মাঝে প্রেমের সস্পর্ক আরো গভীর হয়ে যায়। এক পর্য়ায়ে তানজিরা খানম তার ৮ বছরের ছেলে তামিম মোল্যা কে সাথে নিয়ে গোপালগজে চোখের ডাক্তার দেখানো নাম করে প্রেমিক জসিম খান কে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তানজিরা খানমের ভাই রওশন শেখ বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় জসিম খান কে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে অপহরণ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং ০৫ তারিখ ০৪/০৩/২০২২ ইং।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফ্রেরুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে তানজিরা খানম পাজারখালি বাজারের দক্ষিণ পাশে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গোপালগজ্ঞে চোখের ডাক্তার দেখানোর জন্য গাড়ীর অপক্ষো করতে থাকে । প্রধান আসামি জসিম খানের সহযোগিতায় ৫জন মিলে সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে আমার বোন তানজিরা বেগম (২২) ও তার ছেলে তামিম ( ৮) কে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে জসিম খান তুলে নিয়ে নড়াইলের দিকে পালিয়ে যায়। তানজিরা খানম ও তার ছেলে তামিম মোল্যা কে বিভিন্ন আতœীয় স্বজনদের বাড়িতে খোজাখুজি করে না পেয়ে নড়াইল সদর থানায় জসিম খান কে প্রধান আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি ।
এ দিকে অপহরণ ঘটনাটি নিয়ে সাংবাদিকরা রিপোর্টেরে জন্য অনুসন্ধানে মঙ্গলবার দুপুরে অপহৃত তানজিরা খানমের বাড়িতে গেলে মা নুরজাহান বেগম বলেন, আমার মেয়ে তানজিরা খানম গত ২৮ র্ফেরয়ারি গোপালগঞ্জে চোখের ডাঃ দেখাবে বলে তার ৮ বছরের ছেলে তামিম মোল্যা কে নিয়ে যায়। তানজিরার সাথে আমার ওই দিন একাধিক বার ফোনে কথা হয় এবং বলে মা আমি এখন ছিরিয়ালে দাড়িয়ে আছি ডাক্তার দেখায় চলে আসবো। সে বিকালে আবার ফোন দিয়ে বলে মা আমি চলে আসতেছি । সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমি ফোন দিলে তানজিরা রাতে রান্নার কথা বলে দেয় । এরপর রাত ৮ টার দিকে তার ফোন বন্ধ পাই। পরে সাংবাদিকরা নূর জাহান বেগম কে জিগাসা করে আপনার মেয়ে সকাল ৮টার দিকে অপহরণ হলো আপনি বলছেন সন্ধ্যা ৭টার সময় তার সংগে কথা হয়েছে।
এ দিকে এলাকার কিছু লোক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন, এর আগেও তানজিরা খানম দুইজনের লোকের সংগে পরকীয়া প্রেম করে পালিয়ে গিয়েছিল । তানজিরা খানমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নাই। তানজিরার ভিডিও ক্লিপ থেকে জানা যায়,সে অপহৃত হয় নাই সে স্বইচ্ছায় আসামি জসিম খান কে নিয়ে চলে গেছে। আরো জান যায় একই গ্রামের মওলার স্ত্রী পারভীন বেগম তানজিরার একান্ত সহোযোগি হিসাবে কাজ করছে। পারভীন বেগমের স্মামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় সে বিভিন্ন লোকের সাথে মহিলাদের ফোনে বা ফেসবুকে প্রেম করায় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । পাশের গ্রামের চায়না নামে এক মহিলার ঘর সংসার ভেংগে দিয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি জসিম খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে এবং দেশে থাকা কালিন সময়ে তানজিরা খানম ও পারভিন বেগম আমার কাছ থেকে ৭/৮ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । সে স্বইচ্ছায় আমার কাছে এসে ছিলো। আমি তাকে অপহরণ করি নাই, আমি তানজিরা খানম কে বাড়ি যেতে বল্লে সে আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিত এবং আমাকে “জেলের ” ভাত খাওয়াবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এই অপহরণ মামলার বাদী মোঃ রওশন শেখের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হন নাই বরং নয় ছয় করে এড়িয়ে যান। মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা এস আই নান্নু মিয়া মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তানজিরা খানম ২২ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে জবান বন্দী দিয়েছেন এবং আদালতের আদেশ মোতাবেক মামলার কার্যক্রম চলবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)