নড়াইলের পল্লীতে শিশু ধর্ষন মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ!!
নড়াইলে নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ১ম শ্রেনীর (শিশু ওয়ান) ছাত্রী(৬) ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত কওমী মাদ্রসার মওলানা বিভাগের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র(১১) ও তার মাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই থানা হেফাজতে নিয়েছে নড়াগাতী থানা পুলিশ।
১৮ এপ্রিল (সোমবার) সকাল ১১ টায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগীর ১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া খালা নিপা খানম।
ওই দিনই বিকেলে ভুক্তভোগী শিশুর নানা ও নানী চিকিৎসার জন্য তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শিশুর খালা আরো জানায়, ওই শিশুর বাবার সাথে তার মায়ের কোন সম্পর্ক না থাকায় নানা বাড়ী থেকেই পড়াশুনা করে এবং তার মা ঢাকায় থাকেন। অভিযুক্ত মাদ্রসা ছাত্র একই গ্রামের নিজাম খার ছেলে।
১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গেলে স্থাণীয় ও প্রতিবেশীরা জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য কিছুই দেখতে পাইনি।
গতকাল দুপুরের পরেও তারা ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাড়ীর পাশের মাঠে অন্যন্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা ও দৌড়াদৌড়ি করতে দেখেছে। বিকেলে তার নানা নানী তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়েছে শুনেছি। তবে পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন কিছু ঘটতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন।
এছাড়া প্রতিবেশী রেখা বেগম, মিকাইল মোল্যা, রোকেয়া, শিরিনাসহ আশেপাশের অনেকে ওই পরিবারটিকে নিয়ে নানা ধরেণের বিরূপ মন্তব্য করেন। প্রতিবেশী কোবাদ শেখ জানান, ওই পরিবারের মেয়েদের নৈতিক চরিত্র মোটেও ভাল নয়। কিছু হলে পাশের গ্রামের প্রভাবশালী আত্মীয়দের ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করায়।
এদিকে রাত ১১ টার দিকে বিনা অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্র ও তার মাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ায় স্থাণীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ভুক্তভোগী শিশুর নানা লেয়াকত আলীর সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এখনো কোন অভিযোগ তিনি করেননি। ডাক্তারী রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তিনি অভিযোগ/মামলা করবেন। তবে দুজন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহাকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, অভিযোগ পেলে এবং তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা প্রমানীত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)