নড়াইলের লক্ষীপাশায় গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার লক্ষীপাশা গ্রামে নাসরিন আক্তার(২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নাসরিন ওই গ্রামের পুলিশ সদস্য এনামুল কাজীর ছেলে মো.আরাফাত কাজীর স্ত্রী ও মাগুরা জেলার শালিখা থানার তুশখালি গ্রামের বাহারুল মন্ডলের মেয়ে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে আরাফাত দম্পতির ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহের পর থেকে পরিবারের সাথে ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া ঝাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটত।
নিহতের নানি মোমেনা বেগমের সাথে তার মুঠোফনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা গরীব বলে আরাফাতের মা-বাবা এই বিয়ে মেনে নিতে চায় নি। তাই প্রায়ই আরাফাত তাকে মারধর করত।
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোবাইলে কথা বলায় আরাফাতকে নাসরিন সন্দেহ করায় প্রায়ই তাদের মধ্যে মারামারি হতো। ওইদিন সকালে তার শাশুড়ীর সাথে রান্নার কাজের ফাঁকে তার রুমের গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। দেরী হওয়ায় তার শাশুড়ী ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় নাসরিন ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। অতঃপর আরাফাতের বাবাকে বিষয়টি জানালে তিনি লোহাগড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘরের জানালা ভেঙ্গে নাসরিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
পলাতক আরাফাতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নিহত নাসরিনের বাবা, বড় বোন ফাতেমা ও চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিবাহের পর থেকে আরাফাত ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটাকে নির্যাতন করায় সহ্য করতে না পেরে গতকাল রাত ১২ টার সময় বাবার বাড়ী চলে আসার জন্য ফোনে বোনের কাছে দুইশত টাকা চেয়ছিল। আর আজ তাকে জীবন দিতে হল।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধারপূর্বক সুরতহাল শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)