পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া জবাব দেয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়ে গেছে, আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। আর নদীর পাড়ে কাউকে মৃত্যুবরণ করতে হবে না। এই সেতুর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া জবাব দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।
দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শিবচরের জনসভাস্থলে পৌঁছানোর পর বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘একটা সময় এই শরীয়তপুরে কোনো রাস্তা ছিল না। নৌকায় ঘুরে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আজ আপনাদের ভাগ্য বদলে দিয়েছি। এই শরীয়তপুর একসময় মডেল হবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যবদলের আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। সবাই কাজ করে খেতে পারবে। এখন আর কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না। অন্তত ২১টি জেলার মানুষকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। পদ্মার এপার-ওপার দুই পাড়েই ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘এই দেশের মানুষের জন্য আমার বাবা-মা, ভাই জীবন দিয়েছেন। এরপর আমি আপনাদের ভাগ্য বদলানোর কাজ পেয়েছি। আমি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি দেশকে বিশ্বে মডেল হিসেবে তুলে ধরার। আপনাদের সাহসে আমি কাজ করার সাহস পেয়েছি। এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নতিতে আমি কাজ করব।’
ভূমি যাতে কোথাও খালি পড়ে না থাকে, সেদিকে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘যার যেটুকু জমি আছে তাতে চাষাবাদ করেন। এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে। আপনারা ফসল উৎপাদন করলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকবে, দুর্ভিক্ষ থাকবে না। আপনাদের দেশ, আপনারা গড়ে তুলবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি, থাকব। আরও উন্নত জীবন যাতে আপনারা পান, আমি সেই চেষ্টা করব। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। এই ওয়াদা দিয়ে গেলাম আমি।’
এ সময় পদ্মা সেতু করার জন্য ২০০১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে রেখেছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার কাজ শুরু করি। তখন খালেদা জিয়া বলেছিল, আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারব না। আজ খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করি, আসুন দেখে যান পদ্মা সেতু হয়েছে কি না।’
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আমার মূল লক্ষ্য। আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিক্ষা ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ গেছে, আলো জ্বলছে ঘরে ঘরে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা এখন গ্রামের মানুষও পাচ্ছে। সবার হাতে মোবাইল ফোন আছে, ইন্টারনেট সুবিধা এখন সবাই ভোগ করছে।’
এ সময় ড. ইউনূসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা বন্ধ করে দিলেন তখন হয়তো চিন্তা করেননি এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আজ নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। আমার একমাত্র শক্তি আপনারা। আপনাদের শক্তিতে আজ এই সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)